এমনই অবাক করার মতো ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরের দেহাতের রসুলাবাদে৷ জানা গিয়েছে, পেশায় শ্রমিক যোগেশ তিওয়ারির সঙ্গে ২০১০ সালে বিয়ে হয়েছিল সোনি নামে এক তরুণীর৷ কিন্তু বিয়ের পরেও কনৌজের বাসিন্দা বিকাশ দ্বিবেদী নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন সোনি৷
একটা সময়ের পর স্ত্রীর এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন যোগেশ৷ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি স্ত্রীকে প্রশ্ন করেন তিনি৷ এর পরই নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান সোনি৷ শেষ সোমবার প্রেমিকের সঙ্গে গ্রামে ফিরে আসেন সোনি৷ বিকাশ গ্রামে ফিরেছেন খবর পেয়েই পুলিশকে তা জানান যোগেশ৷
advertisement
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে ফের গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান সোনির প্রেমিক বিকাশ৷ কিন্তু ততক্ষণে স্ত্রীর মনের আসল ইচ্ছের কথা জানতে পেরে গিয়েছেন যোগেশ৷ বুঝে গিয়েছেন, স্ত্রীর মন পড়ে আছে বিকাশের কাছেই৷ এর পরই ফোন করে বিকাশকে গ্রামে আসতে বলেন যোগেশ৷ গোটা বিষয়টি গ্রামের পঞ্চায়েতকেও জানান ওই যুবক৷ এর পরই পঞ্চায়েতের বৈঠক ডাকা হয়৷ সেখানে সোনি জানিয়ে দেন, প্রেমিক বিকাশের সঙ্গেই ঘর বাঁধতে চান তিনি৷ যোগেশকেও বৈবাহিক সব দায় থেকে মুক্ত করতে রাজি হয়ে যান সোনি৷ এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় পঞ্চায়েতও৷
এর পরই গ্রামের একটি মন্দিরেই স্ত্রীর বিয়ের বন্দোবস্ত করেন যোগেশ৷ দাঁড়িয়ে থেকে বিকাশের সঙ্গে নিজের স্ত্রীর বিয়ে দেন তিনি৷ বিয়ের আসরে গ্রামবাসী এবং পুলিশও উপস্থিত ছিল৷ যোগেশ এবং সোনির ১২ বছরের পুত্র তার মায়ের সঙ্গেই থাকবে বলে ঠিক হয়৷