পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ অক্টোবরের ভোরে। দক্ষিণ দিল্লির মদনগির এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন দীনেশ। পরিবার বলতে স্ত্রী এবং কন্যা। আগের রাতে একটু দেরি করেই কাজ থেকে ফিরেছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পরে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ আচমকাই গায়ে তীব্র জ্বালায় ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। দীনেশ দেখেন তাঁর মুখের সামনে স্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। দীনেশের সারা গায়ে গরম তেল ঢেলে দিচ্ছিলেন তিনি। শরীরে জ্বলে যাওয়া অংশে লঙ্কার গুঁড়োও ছেটাচ্ছিলেন।
advertisement
প্রচণ্ড যন্ত্রণায় দীনেশ চিৎকার করতে থাকলে সেই অবস্থাতেই স্বামীকে শাসানি দেন স্ত্রী। বলেন, “চিৎকার করলে আরও গরম তেল ঢেলে দেব গায়ে।” কিন্তু তাতে স্বামীর চিৎকার থামেনি। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীদেরও ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ির মালিক এবং অন্য ভাড়াটিয়ারাও চলে আসেন তাঁদের ঘরের সামনে। ঘরের দরজা তখন বন্ধই ছিল। অনেক ধাক্কাধাক্কির পরে স্ত্রী দরজা খুলে দেন। স্ত্রী গায়ে কী ভাবে গরম তেল পড়ল, কী হয়েছে, সে সব কথা ওঠার আগেই স্ত্রী সকলকে জানান, তিনি স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু স্বামীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে একা ফেলে অন্য দিকে এগোতে থাকেন মহিলা। তা দেখে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয় এবং তিনিই পরে দীনেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
দিল্লির সফদরগঞ্জ হাসপাতালের আইসিইউতে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন দীনেশ। পরে পুলিশি খোঁজখবরে তিনিই ঘটনার কথা জানান পুলিশকে। দীনেশ পুলিশকে জানান, প্রায় বছর আটেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বৈবাহিক জীবনে প্রায়শই বিভিন্ন কারণে অশান্তি লেগে থাকত। দু’বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন স্ত্রী। যদিও পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। দীনেশের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হননি ওই মহিলা বলেই খবর পুলিশসূত্রে।