ভাঙব তবু মচকাবো না। ভারত বিরোধিতায় বরাবর এই নীতিতেই বিশ্বাসী পাকস্তান। স্বাভাবিকভাবেই কুলভূষণ ইস্যুতেও এর বাইরে বেরোতে পারেনি তারা। হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত পাক প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে নির্দেশ দিয়েছে, কুলভূষণ যাদবকে কনসুলার অ্যাকসেস দিতে হবে। কিন্তু এর ঠিক বিপরীত মন্তব্যই করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদপত্র পাকিস্তান অবজারভার প্রথম পাতায় এই মিথ্যাচারকেই ফলাও করে ছেপেছে।
advertisement
পাকিস্তানের আরও একটি প্রথম সারির সংবাদপত্র দ্য নেশন। তারাও রিপোর্ট করেছে, কনসুলার অ্যাকসেস নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত নাকি কোনও নির্দেশই দেয়নি।
কুলভূষণ মামলার অভিমুখই যে বদলে গিয়েছে, চাপে পড়েও তা মানতে নারাজ পাকিস্তান। সেটাই স্পষ্ট হয়েছে, ডেইলি টাইমসের প্রথম পাতায়।
তবে সব পাক সংবাদ মাধ্যমই যে একই বন্ধনীতে রয়েছে এমনটা নয়। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কূটনৈতিক হারকে ‘সেটব্যাক’ বলেই ব্যাখ্যা করেছে তারা। ন্যায় আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে পাকিস্তানের দাবিও যে সপাটে খারিজ হয়েছে সেকথাও তুলে ধরেছে তারা।
ডন-এর খবর, মুখ পোড়ার পুর কুলভূষণ মামলায় পরবর্তী শুনানিতে আরও কোমর কষে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। আন্তর্জাতিক আদালতের নিয়ম মেনেই বিশেষ এই মামলায় একজন পাক বিচারপতিকে নিয়োগ করার তোড়জোড় করা হচ্ছে।