মুখ্যমন্ত্রী পদে আপের দু'বারের সাংসদ নিজের নাম শোনার পরে কেঁদে কেজরিওয়ালকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। আর ধরবেন তো বটেই, রাজনীতিতে তাঁর উত্থান যে একে বারে ধূমকেতুর মতো। জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে পঞ্জাবে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পছন্দ করতে ফোন লাইন খুলে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে নাকি বন্যার জলের মতো এসেছিল দলের কর্মীদের ফোন, সকলেই ভগবন্ত মানকে সামনে রাখতে বলেছিলেন। তাতেই শেষ পর্যন্ত বিনা-লড়াইয়ে প্রধান মুখ হয়েছিলেন তিনি। কেজরিওয়াল আগেই বলেছিলেন, 'জনতা চুনেগি আপনা সিএম।' সেই স্লোগানেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করলেন মান। হলেন আম আদমির মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই সব কংগ্রেস প্রার্থীর রিসর্টে 'আত্মগোপন'! ফলপ্রকাশের আগেই গোয়ায় হলটা কী?
আপের প্রচারের অন্যতম পরিকল্পক, দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, ভগবন্ত মানের পঞ্জাবে জাত, পাত, ধর্ম নির্বিশেষে একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। একেবারে দরিদ্র মানুষের মধ্যেও তিনি বিপুল ভাবে জনপ্রিয়। দলিত, শিখ, হিন্দু, সব জাতের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে মানের জনপ্রিয়তা আছে।
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে নাম জড়ানো পামেলাকে বড় দায়িত্ব বিজেপি-র! দিলীপ ঘোষ যা বললেন...
৪৮ বছরের ভগবন্ত মানের জন্ম ১৭ অক্টোবর। পেশাগত জীবন শুরু একজন কৌতুক অভিনেতা হিসাবে। এর পর তিনি যুক্ত হন মনপ্রিত বাদলের পিপিপি দলে। ২০১৪ সালে তিনি আপে যোগ দেন। সাঙ্গুর থেকে ২ লক্ষের বেশি ভোটে জয় পান। নিজের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে তাঁর। মূলত শিশুদের জন্য তিনি কাজ করেন। এ ছ়াড়া ইরাক থেকে ফেরত আসা ভারতীয়দের জন্যও তিনি কাজ করেছেন। এক কথায় তাঁকে বলা চলে, কৌতুকের রাজা, বিতর্কের মধ্যমণি। সেই মানুষটিই এবার নির্বাচনে আপের কালো ঘোড়া।