পঞ্জাবের রাজনীতিতে শেষ এক বছরে বিপুল নাটক দেখেছে দেশ। শুধু তাই নয়, পঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্দরে দেখা দিয়েছে তীব্র কলহ। চার বছরের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং দল ছেড়ে দল গড়ে যোগ দিয়েছে বিজেপির সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন চরণজিৎ চান্নি। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসেছেন নভজ্যোত সিং সিধু।
অন্য দিকে ধূমকেতুর মতো উঠে এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়া আর কোনও দল একসঙ্গে দুটি রাজ্যে এখন ক্ষমতায় নেই। সেই ইতিহাস পাল্টাতে শুরু করেছে আপ। এ বারে আপ-এর সরকার দেখছে পঞ্জাব। এর মধ্যে উঠে আসছে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগমন্ত মানের নামও। তিনি কার্যত আপ ঢেউয়ের মাথায় চড়ে নতুন তারকা হতে চলেছে জাতীয় রাজনীতি ও পশ্চিম ভারতের রাজনীতির।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই সব কংগ্রেস প্রার্থীর রিসর্টে 'আত্মগোপন'! ফলপ্রকাশের আগেই গোয়ায় হলটা কী?
মুখ্যমন্ত্রী পদে আপের দু'বারের সাংসদ নিজের নাম শোনার পরে কেঁদে কেজরিওয়ালকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। আর ধরবেন তো বটেই, রাজনীতিতে তাঁর উত্থান যে একে বারে ধূমকেতুর মতো। জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ থেকে পঞ্জাবে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পছন্দ করতে ফোন লাইন খুলে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে নাকি বন্যার জলের মতো এসেছিল দলের কর্মীদের ফোন, সকলেই ভগবন্ত মানকে সামনে রাখতে বলেছিলেন। তাতেই শেষ পর্যন্ত বিনা-লড়াইয়ে প্রধান মুখ হয়েছিলেন তিনি। কেজরিওয়াল আগেই বলেছিলেন, 'জনতা চুনেগি আপনা সিএম।' সেই স্লোগানেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করলেন মান। হলেন আম আদমির মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে নাম জড়ানো পামেলাকে বড় দায়িত্ব বিজেপি-র! দিলীপ ঘোষ যা বললেন...
আপের প্রচারের অন্যতম পরিকল্পক, দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, ভগবন্ত মানের পঞ্জাবে জাত, পাত, ধর্ম নির্বিশেষে একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। একেবারে দরিদ্র মানুষের মধ্যেও তিনি বিপুল ভাবে জনপ্রিয়। দলিত, শিখ, হিন্দু, সব জাতের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে মানের জনপ্রিয়তা আছে।