পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে আফজল বলেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানে জল আসা বন্ধ করতে পারে, তাহলে চিনও একই জিনিস ভারতের সঙ্গে করতে পারে৷ গোটা পৃথিবী জুড়ে এরকম শুরু হলে তো যুদ্ধ বেঁধে যাবে!’
পাকিস্তানকে জবাব হিমন্ত বিশ্বশর্মা
চিনের ভরসায় ব্রহ্মপুত্র নদ নিয়ে পাকিস্তানের এই হুমকির পরই তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তানের এই হুমকিতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই৷ তথ্য দিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভারতে এসে আরও ফুলেফেঁপে ওঠে৷ ব্রহ্মপুত্রর জল কখনওই চিনের উপরে নির্ভরশীল নয়৷
advertisement
এক্স হ্যান্ডেলে হিমন্ত লিখেছেন, ‘চিন যদি ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধ করে তাহলে কী হবে? অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এর জবাব দিয়ে দাবি করেছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের মোট জলের যা প্রবাহ, তার মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ চিন থেকে আসে৷ মূলত হিমবাহ গলে এবং তিব্বতে হওয়া বৃষ্টিপাতের সূত্রে সেই জল এসে ব্রহ্মপুত্রে মেশে৷’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, বহ্মপুত্রের বাকি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ জলের উৎস ভারতেই রয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘ব্রহ্মপুত্রের বাকি ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ জলের উৎস ভারতের মধ্যেই রয়েছে৷ মূলত অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশে ভারী বর্ষণ এবং সুবানসিরি, মানস, লোহিত, কামেং, ধানসিরির মতো প্রধান শাখা নদীগুলির জলে পুষ্ট হয় ব্রহ্মপুত্র৷ এ ছাড়াও খাসি, গারো এবং জয়ন্তীয়া পাহাড়ের কৃষ্ণানই, দিগারু এবং কুলসির মতো ছোট ছোট নদীর জলও এসে ব্রহ্মপুত্রে মেশে৷’
তথ্য দিয়ে হিমন্ত দাবি করেছেন, ভারতে প্রবেশের পরেই ব্রহ্মপুত্র আরও ফুলেফেঁপে ওঠে৷ তিনি লিখেছেন, ‘তুতিংয়ে চিন-ভারত সীমান্তে ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২০০০ থেকে ৩০০০ কিউবিক মিটার৷ সেখানে বর্ষার সময়ে গুয়াহাটির মতো অসমের সমতলে সেই প্রবাহই বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০০ থেকে ২০০০০ কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ড৷’
বরং পাকিস্তানের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে হিমন্ত দাবি করেছে, চিন একান্তই যদি ব্রহ্মপুত্রের জল আটকায় তাহলে অতিরিক্ত জলের প্রবাহ কমে গিয়ে অসমের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে৷