মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ড- এই তিন রাজ্যে নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্ব দলের পক্ষ থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেই দেওয়া হয়েছিল বলে বিজেপি সূত্রের খবর৷ সেই দায়িত্বে রীতিমতো স্টার মার্কস নিয়েই পাস করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: ‘কিছু একটা ভুল হয়েছিল’, বাম-কংগ্রেস ধরাশায়ী হওয়ার পর বললেন সুদীপ রায়বর্মণ
advertisement
বিজেপি-র এক নেতার কথায়, গত দু' মাসে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরায় অন্তত ৬০টি সভা করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ এর সঙ্গে ছিল রণকৌশল নির্ধারণের জন্য স্থানীয় প্রতিটি রাজ্যের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক৷ যা চলত রাত তিনটে পর্যন্ত৷
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷
তবে এই সাফল্য এত অল্প সময়ের মধ্যে আসেনি৷ গত দু' বছর ধরে উত্তর পূর্বের এই তিন রাজ্যে দলের সংগঠন ছড়িয়ে দিতে কঠিন পরিশ্রম করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷ তিনিই উত্তর পূর্ব গণতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান পদে রয়েছেন৷ এর আগে মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে জোট সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন হিমন্ত৷ ফলে দলের পক্ষ থেকে এবার তাঁকেই এই তিন রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷
এই তিন রাজ্যেই আদিবাসী ভোটের বড় প্রভাব রয়েছে৷ আদিবাসী ভোট যাতে বিজেপি-র বিপক্ষে না যায়, তা নিশ্চিত করতে প্রথমে তিপ্রামোথার সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টায় আলোচনা শুরু করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল না হওয়ায় পুরনো সঙ্গী আইপিএফটি-র সঙ্গে যাতে জোট না ভেঙে যায়, তা নিশ্চিত করেন হিমন্ত৷
আরও পড়ুন: ‘যতটা আশা করেছিলাম, ততটা ভাল ফল হয়নি’, ত্রিপুরা নিয়ে কেন বললেন মানিক
উত্তর পূর্বের এই তিন রাজ্যের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে৷ যেমন মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে ক্রিশ্চান ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর৷ বিজেপি যাতে সেই ভোট পায়, তা নিশ্চিত করতে আলাদা কৌশল ঠিক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী৷
হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে উত্তর পূর্বের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক ভাল৷ বিশেষত এনপিপি, এনডিপিপি, তিপ্রামোথা দলগুলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল৷ সূত্রের খবর, ফল বেরনোর একদিন আগে বুধবার মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাও হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ বিজেপি নেতারাই স্বীকার করছেন, এই সাফল্যের পর সর্বভারতীয় স্তরে হিমন্ত বিশ্বশর্মার গুরুত্ব আরও বাড়বে৷