নিয়মরক্ষার মতো ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। অনেকে আবার দাম শুনে ইলিশের বদলে অন্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্ধমান শহরের নীলপুর বাজার, তেঁতুলতলা বাজার, রানীগঞ্জ বাজার, কালনা গেট বাজার এবং স্টেশন বাজারে এবার ইলিশের আমদানি ভালই।
আরও পড়ুন- সকাল-সন্ধে টোটো চালিয়ে রোজগার স্কুলছাত্রীর, জীবনের এমন কষ্ট শুনলে চোখ ভিজে যাবে!
advertisement
ছোট থেকে বড় সব ধরনের ইলিশ রয়েছে এখানে। কিন্তু সেই ইলিশ দাম আকাশ ছোঁয়া। আর তাতেই আশাহত হচ্ছেন ইলিশ প্রিয় বাঙালি। বর্ধমানের এই বাজারগুলির ওপর শুধু এই জেলার বাসিন্দারা নন, পাশের হুগলির আরামবাগ মহকুমা, বাঁকুড়া জেলার একটা বড় অংশে ইলিশ যায় এখানের পাইকারি বাজার থেকে।
ক্রেতারা বলছেন, টিভিতে, খবরের কাগজে দেখা যাচ্ছে এবার ইলিশের প্রচুর আমদানি। কিন্তু তার দাম কমার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমদানি বেশি হলে দাম কম হওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটি ঘটছে না এবার।
পকেটের কথা মাথায় রেখে অনেককেই ইলিশের স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে। বর্ধমানের স্টেশন বাজার ঘুরে দেখা গেল, তিনশো সাড়ে তিনশো গ্রাম ইলিশের দাম সাতশো টাকা। এরপর যেমন ওজন তেমন দাম।
পাঁচশো ওজনের ইলিশের দাম আটশো টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাজার বারোশো টাকা দাবি করা হচ্ছে। এই দাম শুনে ইলিশ কেনার ইচ্ছে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
স্থানীয় বিক্রেতাদের দাবি, সমুদ্রে ইলিশ মিলছে ঠিকই, তবে তার যোগান বিপুল চাহিদার থেকে অবশ্যই কম। তাই চড়া দামেই ইলিশ কিনতে হচ্ছে। সেই জন্যই বাজারে ইলিশের দাম কমছে না।
আরও পড়ুন- জেলায়-জেলায় মারাত্মক হচ্ছে ডেঙ্গি, কী করে প্রতিরোধ করবেন? উপায় জানাচ্ছেন চিকিৎসক
শোনা গেল, অনেক ব্যবসায়ী ভাল মানের ইলিশ হিমঘরে মজুত করছেন। পুজোর সময় সেইসব ইলিশ বাজারে আসবে। কৃত্রিম অভাবের কারণেও দাম বাড়ছে ইলিশের।