বুধবার সকাল থেকেই কর্ণাটকের রাজধানী জুড়ে সাজো সাজো রব ৷ ভিভিআইপি-দের সামাল দিতে রাস্তায় নামানো হয়েছিল অতিরিক্ত ফোর্স ৷ যার জেরে শহরবাসী তো নাকানি চোবানি খেয়েছেনই ৷ সেই তালিকাতেই নাম জুড়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ৷ শপথ বাক্য পাঠের মঞ্চে আসার সময়ে ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এমনকী, অনুষ্ঠান মঞ্চের গেটে পৌঁছানোর আগেই কর্ণাটকের পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে মঞ্চ অবধি যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি ৷ যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বটেই ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরাও হতবাক হয়ে যান ৷ ভিভিআইপি-দের গাড়ির অতিরিক্ত ভিড়েই যানজটে আটকে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ৷ আর এদিকে অনুষ্ঠানের সময় এগিয়ে আসায় বিপাকে পড়েন পুলিশ কর্মীরা ৷ যার জেরে মুখ্যমন্ত্রীকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে মঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্ণাটকের পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ৷
advertisement
এরপরই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন মমতা ৷ তিনি গোটা ঘটনাটি কর্ণাটক পুলিশ চিফ নীলামনি রাজুকে জানান ৷ একইসঙ্গে জেডিএস সুপ্রিমো দেবেগৌড়া এবং তাঁর ছেলে কুমারস্বামীকেও জানান তিনি ঘটনাটি ৷
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কর্ণাটক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মী আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি হিসেবে ১৮ থেকে ২০টি গাড়ি আসার কথা ছিল ৷ যা সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায় তারা ৷ একইসঙ্গে রাজ্যপাল এবং হবু মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ছাড়া বাকি গাড়ি গুলির জন্য জিরো ট্রাফিকেরও কোনও ব্যবস্থা ছিল না ৷ এমনকী, বিভিন্ন দিক থেকে গাড়িগুলি আসার জন্য সেই গাড়িগুলিকে কন্ট্রোল করাও যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ কিছু কিছু গাড়ি ট্রাফিক সিগনালে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে বলে জানিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷
একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িই নয় ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতীর গাড়িও ট্রাফিকে আটকে পড়ে ৷
