নিউজ ১৮ বিহার ঝাড়খণ্ডের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লিতে রয়েছেন হেমন্ত সোরেন এবং তাঁর স্ত্রী৷ আগামিকাল, বুধবার তাঁদের রাঁচি ফেরার কথা৷
৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১টি আসন৷ বর্তমানে হেমন্ত সোরেনের দল জেএমএম-এর নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের দখলে রয়েছে ৫৬টি আসন৷ এর মধ্যে জেএমএম-এর হাতে রয়েছে ৩৪টি আসন, কংগ্রেসের হাতে ১৬টি, আরজেডি-র হাতে চারটি এবং বামেদের দখলে রয়েছে দুটি আসন৷
advertisement
অন্যদিকে বিজেপি-র হাতে আছে ২১টি আসন৷ এর সঙ্গে এলজেপি-র একজন, জেডিইউ-এর একজন এবং এজেএসইউ-এর একজন বিধায়কের সমর্থন পেলে বিজেপি-জেএমএম জোটের হাতে মোট ৫৮ জন বিধায়কের সমর্থন চলে আসবে৷
সংবাদমাধ্যমের কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী কংগ্রেসের অন্তত ৮জন বিধায়ক হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে নতুন সরকারকে সমর্থন দিতে তৈরি৷ এই সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিতে পারে বিজেপি৷ দল বিরোধী আইনের কোপ থেকে বাঁচতে কংগ্রেসের অন্তত ১১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন হবে৷
দ্য সানডে গার্ডিয়ানের খবর অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডে যে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতাদের একাংশও৷ হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন কংগ্রেস নেতারাও৷ তাঁদের মতে দু দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারে৷
কেন কংগ্রেসকে ছেড়ে বিজেপি-র দিকে ঝুঁকছেন হেমন্ত?
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১৬টি আসনে লড়ে একটিতেও জয়ী হতে পারেনি জেএমএম৷ এই ব্যর্থতার পরই বিহারে কংগ্রেস এবং আরজেডি-র সঙ্গে জোট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বসে জেএমএম শীর্ষ নেতৃত্ব৷
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নের জন্যই কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে জেএমএম৷
দ্বিতীয়ত, হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগে তদন্ত করছে ইডি, তা নিয়েও উদ্বেগে হেমন্ত এবং তাঁর অনুগামীরা উদ্বিগ্ন৷ কারণ ইতিমধ্যেই একবার এই মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে ইডি৷ গত অগাস্ট মাসে সংসদে পেশ হওয়া নতুন যে বিল বর্তমানে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে গিয়েছে, সেই বিল অনুযায়ী গ্রেফতারির ৩১ দিনের মাথায় হয় ক্ষমতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, নয়তো আইনের বলেই ক্ষমতাচ্যুত হবেন তিনি৷ নতুন এই বিল হেমন্তের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে৷
তৃতীয় কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছে, গত অগাস্ট মাসে প্রয়াত হেমন্ত সোরেনের বাবা এবং ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনকে ভারত রত্ন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে কেন্দ্র৷
সবমিলিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে জেএমএম-এর জোট এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
