নিশিকান্ত দুবে এক্স প্ল্যাটফর্ম (সাবেক ট্যুইটার)-এ লিখেছেন, “মাত্র ৩৫ জন সাংসদই ওই বৈঠকে পৌঁছেছিলেন (যে বৈঠকে কল্পনাকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল)। উপস্থিত সাংসদরা কাগজে স্বাক্ষরও করেন। বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কোনও পরিকল্পনাই নেই হেমন্তজির। তিনি হয়তো ইডি-র জেরার সম্মুখীন হবেন।”
এক এক্স ব্যবহারকারী স্থানীয় সংবাদপত্রের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যায়, কল্পনার নামের বিরোধিতা করেছেন সীতা সোরেন। সীতার বক্তব্য, তিনিও ওই পদের যোগ্য দাবিদার। কারণ, তিনি তিন বার সাংসদ পদে আসীন হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁর স্বামীও তো দলের জন্য অনেক লড়াই করেছেন!
advertisement
কিন্তু কল্পনা সোরেনকে নিয়ে এত শোরগোলের কারণ ঠিক কী, আর তাঁর পরিচয়ই বা কী, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
১. এনডিটিভি-র এক প্রতিবেদনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পার্টির একটি সূত্রের বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয় যে, যদি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হন, তাহলে তাঁর অনুপস্থিতিতে সেই পদে আসীন হবেন স্ত্রী কল্পনাই।
২. আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-র জেরার মুখে পড়তে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। এমনকী তাঁর বয়ান রেকর্ড করার পরে গ্রেফতারির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
৩. হিন্দুস্তান টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কল্পনা সোরেন আদতে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার মেয়ে। আর তাঁর কোনও রাজনৈতিক পটভূমিও নেই। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হেমন্ত সোরেনর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কল্পনা।
৪. ওই দম্পতির দু’টি সন্তান – নিখিল এবং অংশ। কল্পনার বাবা একজন ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। কল্পনা নিজেও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এর পাশাপাশি অবশ্য সমাজ সেবামূলক কাজও করেন তিনি।
৫. ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, কল্পনা একটি স্কুল চালান এবং অর্গ্যানিক কৃষিকাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এমবিএ ডিগ্রি রয়েছে হেমন্ত-পত্নীর।
৬. আবার এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কল্পনা সোরেন যদি ক্ষমতায় আসেন, তাহলে আইনি বাধা আসতে পারে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভার মেয়াদ এক বছরের কম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও উপনির্বাচন করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কল্পনা সোরেনের পক্ষে সাংসদ হওয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।