মাস পাঁচেক আগে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ তবে, কেজরিওয়ালের পথে না হেঁটে গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত৷ এর পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন চম্পাই সোরেন৷
তারপর গত ২৮ জুন হেমন্ত সোরেনকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট৷ এর পর থেকেই কানাঘুঁষো শোনা যেতে থাকে, ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরতে চলেছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা৷
advertisement
তারপরেই গত বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন চম্পাই সোরেন৷ আজ, বৃহস্পতিবার নিজ আসনে ফিরলেন হেমন্ত৷
চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরের দিনই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এর কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং আরজেডি নেতা সত্যানন্দ ভোক্তার সাথে রাজভবনে গিয়ে সরকার গঠন করার আবেদন জানান৷ রাজ্যপালের স্বীকৃতি মেলার পরেই হয় এদিনের শপথগ্রহণ৷
তবে সূত্রের খবর, বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিতে হলেও এই সিদ্ধান্তে অখুশি চম্পাই নিজে৷ তাঁকে সম্ভবত জেএমএম-এর কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে৷
সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে৷ রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট মনে করছে হেমন্ত সোরেনকে সামনে রেখে ভোটে লড়লেই ভাল ফল করবেন তাঁরা৷ কারণ লোকসভা নির্বাচনের সময় হেমন্ত জেলে থাকলেও জেএমএম এবং কংগ্রেসের জোটের সামনে ঝাড়খণ্ডে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি৷ ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী অধ্যুষিত পাঁচটি লোকসভা আসনেই জয়ী হয়েছে ইন্ডিয়া জোট৷ এমন কি, সোরেন পরিবারের খাসতালুক দুমকাতেও জয়ী হয় জেএমএম৷ সেখানে হেমন্ত সোরেনের বৌদি সীতা সোরেনকে প্রার্থী করলেও পরাজিত হয়েছে বিজেপি৷
যদিও হেমন্ত সোরেনের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফেরাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ গেরুয়া শিবির কটাক্ষ করে বলেছে, অন্য কারও হাতে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না সোরেন পরিবার৷ চম্পাই সোরেনকে শুধুমাত্র অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী করে রাখা হয়েছিল৷