তাঁকে দেখতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভিড় জমিয়ে ছিলেন নির্বাচনী সভা প্রাঙ্গনে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে হেমা মালিনী, মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর পাশাপাশি আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কাউন্সিলর রত্না দত্ত-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে উঠে হেমা মালিনী বলেন, ‘‘ভাল রাজনৈতিক দলের সংস্পর্শে থাকলে সকলের মঙ্গল হয়। তাই সকলে বিজেপিকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে থেকে কোনও লাভ নেই কারণ তাঁরা মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না।’’
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্য তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানো, সংখ্যালঘুদের মন পেতে এখন মরিয়া বঙ্গ বিজেপি
সেই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকলে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিশেষ করে যুব প্রজন্মের কাছে তিনি আবেদন করেন, তাঁরা যেন অবশ্যই এগিয়ে এসে নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ডাবল ইঞ্জিনিয়ার সরকারের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরার উন্নয়নের বিষয়ে সচেতন। কার জন্য কী কাজ করতে হয়, তা তিনি সব সময় মনে রাখেন। এই সময় ত্রিপুরা রাজ্যের অনেক উন্নতি হয়েছে। বিজেপি সরকার আবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করবে।’’
অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, ‘‘যে সিপিআইএম দল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের উপর প্রাণ জাতীয় আক্রমণ চালিয়েছে, খুন করেছে, আজ তাদের সঙ্গেই নেতৃত্ব হাত মিলিয়েছে ভোটের জন্য। কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থকরা তা কখনও মেনে নেবেন না। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি আবার রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে। মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ১৬ তারিখ এলেই মানুষ তাঁদের মতো অধিকার প্রয়োগ করবেন এবং বিজেপিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবেন।’’
আরও পড়ুন: দুই মানিকের পর এবার মাণিক্যর পালা! ত্রিপুরা দখল করবেন তাঁরাই, দাবি মহারাজার
‘ড্রিমগার্ল’কে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন আট থেকে আশি প্রত্যেকেই। আগরতলায় সভা করার আগে তিনি দক্ষিণ জেলার ঋষ্যমুখ, বিলোনিয়া এবং গোমতী জেলার বাগমা এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন। এই সভাগুলিতে বর্ষীয়ান বলি অভিনেত্রীকে দেখতে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল।