বেশ কয়েকদিন আগে দিল্লিতে একটি সেমিনারে যোগ দিয়ে করোনা আক্রান্ত হন এইমসের ফিজিওলজি বিভাগের এই চিকিৎসক। এরপর তাঁর থেকে সংক্রমণ ছড়ায় তাঁর পরিবারে। আক্রান্ত হন তাঁর আসন্নপ্রসবা স্ত্রী। আর তাতেই আশঙ্কা দানা বাধে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলার সন্তান প্রসবের সময় চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কারণ, মায়ের শরীরে করোনা ভাইরাস থাকলে তা সন্তানের মধ্যেও থাকবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। তাই সন্তান জন্ম নেওয়ার পর আক্রান্ত মহিলার একাধিক পরীক্ষা করা হয়। এমনকি শিশুটির ক্ষেত্রেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকরা। তাই তারা শিশুটিরও করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে নবজাতকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
advertisement
যদি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত শিশুটিকে কয়েকদিন আইসোলেশনে রাখা হবে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আর এক সপ্তাহ পরে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার কোথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার বিকালেই সিজার করে তাঁকে পৃথিবীর আলো দেখান এইমসের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক নীরজা ভাটলা।
এদিকে, এইমসের এই চিকিৎসক ছাড়াও বুধবার দিল্লির আরও তিন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন সফদরজং হাসপাতাল ও একজন সর্দার বল্লভ ভাই পটেল হাসপাতালে কর্মরত। সফদরজং হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত এক চিকিৎসক সম্প্রতি দুবাই থেকে দেশে ফেরেন বলেই সূত্রের খবর।