সিবিআই-এর অন্দরে দুই কর্তার যুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মা ও সিবিআই-এর সেকেন্ড ম্যান-ইন কম্যান্ড রাকেশ আস্থানা-- দু জনকেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে৷ এই টালমাটাল অবস্থায় বুধবার মুখ খুললেন অরুণ জেটলি৷ যাবতীয় বিতর্ক ঢাকতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, 'অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করা হবে৷ অন্তর্বর্তী অধিকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে৷ তদন্তে স্বচ্ছতা রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ৷ দোষিরা সিবিআই-এর দিকে আঙুল তুলতে পারবেন না৷'
advertisement
অলোক ভার্মার অনুপস্থিতিতে অন্তর্বতীকালীন ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এম নাগেশ্বর রাও-কে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি মঙ্গলবার গভীর রাতেই জানিয়ে দেয়, নাগেশ্বর রাও এখন থেকে সিবিআই ডিরেক্টরের দায়িত্বভার সামলাবেন।
গত ২৬ দিন ধরে চলা সিবিআই-এর এই গৃহযুদ্ধকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে জেটলি বলেন, 'দুই অফিসারকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্বচ্ছ তদন্তের জন্যই৷ বিরোধীরা কি চান না, দুই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক?' প্রসঙ্গত, ১৩ জন অফিসারকে ইতিমধ্যেই বদলি করা হয়েছে৷
মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তকে কেন্দ্র করে প্রায় ভাগ হয়ে গিয়েছিল সিবিআই। মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হানা দিয়ে সিবিআই অফিসাররাই আস্থানার ঘনিষ্ঠ অফিসার দেবেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করেন। আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে আগেই। অলোক তাঁকে সাসপেন্ড করার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় সম্ভাব্য গ্রেফতারি এড়াতে আগাম দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আস্থানা। মঙ্গলবার মধ্যাহ্ন বিরতির পরে বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরির বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।
আরও ভিডিও: সিবিআই আসলে কনস্পিরেসি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন