বিদ্যুৎ দেওয়ার বিষয়ে হাসিনা জানিয়েছেন, ‘জল চেয়েছিলাম ৷ বিদ্যুৎ পেলাম ৷ ভালোই হয়েছে, কিছু তো পেলাম ৷’
ছয় বছর ধরে ঝুলে রয়েছে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি। এই চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় বাংলাদেশে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে হাসিনা বিরোধিতা। তিস্তা সমাধান না হলে ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কাও রয়েছে হাসিনা প্রশাসনের। এবারের ভারত সফরেও তিস্তা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্রুত তিস্তা চুক্তি করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
advertisement
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তা চুক্তিতে সম্মতি দেন কি না, সে দিকেই তাকিয়ে হাসিনা। কারণ, মোদি সরকার জানিয়ে দিয়েছে মমতার সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত হবে তিস্তা চুক্তি।
তিস্তার বিকল্প হিসাবে তোর্সা-সহ বেশ কয়েকটি নদীর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা। সেই প্রস্তাব আমল দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি করলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ইনু।
এবারের হাসিনার সফরে সই হয়েছে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য-সহ মোট ২২টি চুক্তি। হয়েছে বেশ কয়েকটা মউ। কলকাতা-খুলনা বাস-ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, বহু বছর প্রতিক্ষার পর। স্থির হয়েছে, এপার বাংলা থেকে বিদ্যুৎ পাবে ওপার বাংলার মানুষ। কিন্তু, তিস্তার জল না পাওয়া গেলে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায়, সেটাই প্রশ্ন।