পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে ২৪ বছর বয়সি ওই মডেলকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ নৃশংস ভাবে হত্যার পর সোনিপথের একটি খালে ওই মডেলের দেহ ফেলে দেওয়া হয়৷ কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ৷
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হরিয়ানার পানিপথে নিজের বোনের সঙ্গে থাকতেন শীতল৷ গত ১৪ জুন আহর গ্রামে একটি মিউজিক অ্যালবাম শ্যুটিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন শীতল৷ কিন্তু তিনি বাড়ি না ফেরায় পুলিশে অভিযোগ জানান শীতলের বোন৷ তদন্তে নেমে খান্ডা গ্রামে একটি খালের মধ্যে থেকে শীতল নামে ওই মডেলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ তাঁর হাত এবং বুকের ট্যাটু দেখেই শীতলকে শনাক্ত করে পুলিশ৷
advertisement
শীতলের বোন নেহার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, গত শনিবার বাড়ি থেকে বেরনোর পর শীতল তাঁকে একটি ভিডিও কল করেছিলেন৷ তখনই ভয়ার্ত অবস্থায় শীতল জানান যে তাঁর বয়ফ্রেন্ড তাঁর উপরে শারীরিক নির্যাতন করছেন এবং তাঁকে জোর করে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ এর পরই সেই ভিডিও কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ এর পরে আর দিদির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি শীতলের বোন৷
দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ৷ পাশাপাশি শীতল শেষ বার কাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, আদৌ তিনি শ্যুটিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন কি না এবং মৃত্যুর আগে কাদের সঙ্গে ছিলেন, সে সব তথ্যই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷