কেন্দ্রের বিশেষ এই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’। অগাস্ট মাসে তিন দিন ধরে ঘরে ঘরে পতাকা ওড়ানো হবে তার আওতায়। সরকারি ভবন, রাষ্ট্রায়াত্ত দফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, রেস্তরাঁ, শপিং মল, টোলপ্লাজা, থানায় জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মোদি একটি ট্যুইট করে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি ট্যুইটে লিখেছেন, "এ বছর যেমন আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি, আসুন প্রতিটি ঘরে ঘরে তেরঙ্গা আন্দোলনকে শক্তিশালী করি। তেরঙ্গা উত্তোলন করুন বা ১৩ এবং ১৫ অগাস্টের মধ্যে আপনার বাড়িতে পতাকা ওড়ান। এই আন্দোলন জাতীয় পতাকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।"
advertisement
অন্য একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, 'আজ ২২শে জুলাই। আমাদের ইতিহাসে এই দিনটির একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ১৯৪৭ সালের এই দিনে আমাদের জাতীয় পতাকা গৃহীত হয়।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ আমরা তাদের সকলের মহান সাহস ও প্রচেষ্টাকে স্মরণ করি যাঁরা স্বাধীন ভারতের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেদিন যেদিন আমরা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলাম। আমরা তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করতে এবং স্বপ্নের ভারত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাধারণ মানুষকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই কর্মসূচিতে যোগদানে আগ্রহী করে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ খোদ এর প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে দেখেছেন। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের অধীনেই চালানো হবে এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন : ‘দেশের কাছে আশার আলো’, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির
আরও পড়ুন : অনলাইনেও 'মিলিয়ন ভিউজ'! শহিদ দিবসে বিপুল, বিশাল জনসমাগমে অভিভূত তৃণমূল কংগ্রেস
এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন শাহ। সেই নিয়ে ট্যুইটও করেন তিনি। লেখেন, ‘নাগরিকের মনে দেশভক্তির ভাবনা প্রবল করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচির আওতায় বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন’।