টানা ৯দিনের লড়াই ৷ ৬ দিন ৩৫ বরফের নীচে ৷ আর তিনদিন হাসাপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন ৷ সোমবার সিয়াচেনে উদ্ধারের পর থেকেই সঙ্কটজনক ছিল হনুমানথাপ্পার জীবন ৷ কোমায় চলে গিয়েছিলেন জওয়ান ৷ উদ্ধারের পর থেকে টানা তিনদিন ডাক্তারদের কড়া নজরে ছিলেন তিনি ৷ দিল্লির সেনা হাসপাতালে তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে ৷ কাজ করছিল না জওয়ানের কিডনি, ফুসফুস ৷ বিকল হয়েছিল দেহের প্রায় সবকটা অঙ্গ-প্রতঙ্গ ৷ মৃত্যুর কাছে শেষমেশ হার মানলেন জওয়ান ৷ জওয়ান হনুমানথাপ্পার জন্য রইল শ্রদ্ধার্ঘ ৷
advertisement
মাদ্রাজ রেজিমেন্টের ১৯ নং ব্যাটালিয়নে যোগদান করে হনুমানথাপ্পা ৷ ২০০৩-২০০৬ সাল পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের মাহেরে পোস্টিং ছিল তাঁর ৷ সেখানে কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনে সক্রিয় সদস্য ছিলেন জওয়ান হনুমানথাপ্পা৷ ২০০৮-২০১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের হয়ে ফের জম্মু-কাশ্মীরে ৷ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযানে সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি ৷ ২০১০-২০১২ উত্তরভারতে জঙ্গি দমন অভিযানে যোগ দেন হনুমানথাপ্পা ৷ NDFB, ULFA জঙ্গি দমনে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন জওয়ান ৷ সব জায়গায় এই কৃতিত্বের জন্য উচ্চ অক্ষাংশে পোস্টিং এর জন্য বেছে নেওয়া হয় হনুথাপ্পাকে ৷ ২০১৫-র ডিসেম্বর থেকে সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনে কর্মরতকর্মরত ছিলেন ১৯৬০০ ফুট উচ্চতায় সোনম হেলিপ্যাডে ৷ জওয়ান হনুমানথাপ্পার জন্য রইল শ্রদ্ধার্ঘ ৷