সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে শ্রীনগর থেকে ৭০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে, কুপওয়ারা জেলার হান্ডওয়ারায়, লাইন অফ কন্ট্রোলের খুব কাছের ওই পুলিশ পোস্টে অন্ধকারের ফায়দা তুলে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা ৷ সতর্ক নিরাপত্তাবাহিনীরাও তৎক্ষণাৎ তাদের মোকাবিলা করে ৷
রবিবারও এরকমভাবেই সেনার শিফট বদলের সময় ভোর রাতে উরিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা ৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘুমন্ত জওয়ানদের টেন্টের দিকে গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে জঙ্গিরা ৷
advertisement
উরি হামলায় নিহত এরাজ্যের দুই জওয়ানকে বিমানবন্দরে সেনার গার্ড অফ অনার, উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়-পূর্ণেন্দু
গ্রেনেড বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় সেনা তাঁবুতে ৷ আগুনের হাত থেকে বাঁচতে তাঁবু থেকে বেরোতেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা ৷ তাৎক্ষণিক চমক কাটিয়ে জঙ্গিদের মোকাবিলা করে ভারতীয় সেনা ৷ গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় জঙ্গিদের ৷ হামলায় শহীদ হয়েছেন ১৮ জন জওয়ান ৷ দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার লড়াইয়ের পর চার জঙ্গিকে খতম করতে সফল হয় সেনা ৷ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ৷
দেশ চায় বদলা কিন্তু উরি সন্ত্রাসের কী জবাব দেবে ভারত ?
ভোর ৫:২০ নাগাদ হামলা চালায় তিন চারজনের জঙ্গি দল ঢুকেছিল সেনা ক্যাম্পে ৷ জানা গিয়েছে, ১৮ জন শহীদ জওয়ানদের মধ্যে ১৪ জন সেই সময় টেন্টে ঘুমোচ্ছিলেন ৷ জঙ্গিরা টেন্ট লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়াতে, সেনাছাউনিতে আগুন লেগে যাওয়াই তাদের মৃত্যু হয়েছে ৷ ১৮ জন জওয়ানদের মধ্যে দু’জন ছিলেন এরাজ্যের বাসিন্দা, ৬ বিহার রেজিমেন্টের সেপাই বিশ্বজিৎ ঘড়াই এবং সেপাই গঙ্গাধর দলুই ৷