৬০ আসনের গুয়াহাটি পুরসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ৩টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ১৯৭ জন নির্বাচনে লড়েছেন, জানিয়েছে অসমের নির্বাচন কমিশন। এই প্রথম গুয়াহাটি পৌর নির্বাচনে EVM ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ভোটদাতাদের মধ্যে বাড়তি উত্সাহ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার গুয়াহাটি পৌরনিগম এলাকায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে নির্বাচন কমিশন আশা করেছিল, ভোটদানের হার বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বাস্তবে সেটা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন- লক্ষ্য অসম, শুক্রবার গুয়াহাটিতে বড় পরীক্ষা আম আদমি পার্টির
কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া গুয়াহাটি পৌর নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছে অসমের নির্বাচন কমিশন ৷ ভোটগ্ৰহণ চলাকালীন ৪৬ নং ওয়ার্ডে আম আদমি পার্টির প্ৰাৰ্থী অসীম কুমার শর্মার পোলিং এজেন্ট তথা তাঁর পুত্ৰর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কৰ্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপির ১০-১২ জন কর্মী বিজেপি পোলিং এজেন্ট মোহিত শৰ্মাকে বিনা কারণে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছিল আম আদমি পার্টি।
১৯ এপ্রিল গুয়াহাটি পৌর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই সময় রঙ্গিলা বিহুর কারণে অসমে উত্সবের আবহ। তাই ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২৪ এপ্রিল ভোটগণনা হবে। মোট ভোটারের সংখ্যা ৭, ৯৬, ৮২৯ জন। পুরুষ ৩, ৯৬, ৮৯১ জন, মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩,৯৯, ৯১১ জন।
বিজেপি দাবি করেছে, ৫৭টিল ওয়ার্ডেই বিজেপি বিপুল ভোটে জিতবে। তবে বিরোধীরা সেই দাবি নস্যাত্ করছে। তাদের দাবি, বিজেপির প্রতি অনাস্থার কারণে এত কম হারে ভোট পড়েছে। তাছাড়া ভোটগ্রহণে বিজেপির কর্মীদের দাদাগিরির অভিযোগও করেছে তারা।
আরও পড়ুন- বিজেপিকে নিয়ে এ কী বললেন হার্দিক প্যাটেল! প্রহর গুণছে কংগ্রেস
গুয়াহাটি পৌর নির্বাচনে যানজট, জলনিকাশি ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটসহ একাধিক ইস্যু ছিল। বিরোধীদের দাবি, গুয়াহাটি শহরে নিকাশি ব্যবস্থা গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষকে বারবার সমস্যায় ফেলেছে। বিজেপি অবশ্য বলছে, রাস্তাঘাট থেকে নিকাশি ব্যবস্থা, সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে।