TRENDING:

অপরাধ রাস্তার কুকুরদের খেতে দেওয়া; গুরুগ্রামে এক পরিবারকে গাড়িতে বন্দি করল প্রতিবেশীরা

Last Updated:

দরজা লক করে স্বামী, স্ত্রী ও শিশুকে গাড়িতেই বন্দি করে রাখা হয়। শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি। যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#গুরুগ্রাম: রাস্তার কুকুরদের খাবার খাইয়ে বিপদে পড়ল পরিবার। জনরোষে শেষমেশ গাড়িতেই বন্দি হয়ে থাকতে হল এক শিশু-সহ পরিবারের তিন সদস্যকে। অশ্রুতপূর্ব ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে।
advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে ওই পরিবার বাটিকা ২১ হাউসিং সোসাইটি কমপ্লেক্সের সেক্টর ৮৩-তে (Vatika 21 housing society complex in Sector 83) থাকে। সোমবার রাতে নিজস্ব গাড়িতে গন্তব্যে ফিরছিলেন ওই পরিবারের এক শিশু-সহ তিন সদস্য। কমপ্লেক্সের গেটের বাইরে তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দরজা লক করে স্বামী, স্ত্রী ও শিশুকে গাড়িতেই বন্দি করে রাখা হয়। শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি। যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে কমপ্লেক্সের এক বাসিন্দাকে বলতে শোনা যাচ্ছে 'বাহার নিকালো কুত্তে কো'।

advertisement

পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই পরিবার জনরোষের হাত থেকে রেহাই পায়। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে আক্রান্ত পরিবারের তিন সদস্যই কুকুরপ্রেমী। তাঁরা প্রায়ই রাস্তার কুকুরকে কমপ্লেক্সে ডেকে এনে খাওয়াতেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর এখানেই কমপ্লেক্সের বাকি বাসিন্দাদের আপত্তি। রাস্তা থেকে উঠে আসা কুকুরগুলি কমপ্লেক্স নোংরা করছে বলে দাবি। এই ইস্যুতে প্রতিবাদীদের সঙ্গে ওই পরিবারের একাধিক আলোচনাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

advertisement

অভিযোগ, সম্প্রতি রাস্তার কুকুরগুলির হামলার থেকে কোনও মতে বেঁচেছেন কমপ্লেক্সের কয়েকজন বাসিন্দা। সারমেয়দের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও। কয়েকজনের পায়ে কুকুরের দাঁত বসে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। এ ব্যাপারে কমপ্লেক্সের কুকুরপ্রেমী পরিবারের সঙ্গে কথা বললে, তাঁরা নির্লিপ্ত থেকেছেন জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা। উল্টে প্রতি রাতে সারমেয়দের ডেকে খাওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এতে এলাকা যেমন নোংরা হয়েছে, তেমনই চায়পেয়েদের চিৎকারে কমপ্লেক্স ঘুম উড়েছে বলে জানানো হয়েছে।

advertisement

কুকুরের অত্যাচারে কার্যত উত্যক্ত হয়েই তারা চরম পদক্ষেপের রাস্তা বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গুরুগ্রামের বাটিকা ২১ হাউসিং সোসাইটি কমপ্লেক্সের সেক্টর ৮৩-র বাসিন্দারা। অন্যথায় ওই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনও ব্যক্তিগত সংঘাত নেই বলেও জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে কমপ্লেক্স থেকে রাস্তার কুকুরগুলিকে বের করে দিতে হবে। এই ইস্যুতে তাঁরা ২০১১ সালের দিল্লি হাইকোর্টের এক রায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে রাস্তার কুকুরদের যত্রতত্র খাওয়ানোর উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

advertisement

পাল্টা হিসেবে ২০১৪ সালে ভারতের অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের জারি করা সার্কুলারের কথা উল্লেখ করেছে আক্রান্ত পরিবার। যেখানে বলা হয়েছে রাস্তার প্রাণীদের খাওয়ানোর উপরে কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করা উচিৎ নয়। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী এই কাজে কোনও দ্বিধা থাকা উচিৎ নয় বলেও দাবি করেছে ওই পরিবার। তবে এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালের পর থেকে প্রতি দিন দিল্লির রাস্তায় ১২০ জন মানুষকে কামড়ায় রাস্তার কুকুর। গত চার বছরে রাজধানীতে কমপক্ষে দেড় লক্ষ মানুষ এ ব্যাপারে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
অপরাধ রাস্তার কুকুরদের খেতে দেওয়া; গুরুগ্রামে এক পরিবারকে গাড়িতে বন্দি করল প্রতিবেশীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল