TRENDING:

Gurjar Aandolan: সরকার মেনে নিয়েছিল দাবি, বিজয় বৈঁসলাও খুশি ছিলেন, আচমকা গুর্জর সংরক্ষণ আন্দোলনের আগুন কেন জ্বলে উঠল?

Last Updated:

Gurjar Aandolan: মহাপঞ্চায়েত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় কিন্তু, বিজয় বৈঁসলা সরকারের প্রস্তাব পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু আন্দোলনকারী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
যোধপুর: ৮ জুন ২০২৫ তারিখে রাজস্থানের ভরতপুরের পিলুপুরায় গুর্জর মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছিল। গুর্জর সংরক্ষণ সংগ্রাম কমিটির ডাকা মহাপঞ্চায়েতে অনেক জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিগত দুই দিন ধরে কমিটির নেতা বিজয় বৈঁসলা তাঁর ৭টি দাবির বিষয়ে রাজস্থান সরকারকে হুমকি দিচ্ছিলেন। এদিকে, মহাপঞ্চায়েত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় কিন্তু, বিজয় বৈঁসলা সরকারের প্রস্তাব পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু আন্দোলনকারী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
কী ঘটল রাজস্থানে?
কী ঘটল রাজস্থানে?
advertisement

পিলুপুরায় গুর্জর সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিজয় বৈঁসলা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের সরধনার বিধায়ক অতুল প্রধানও সেখানে পৌঁছেছিলেন। সকাল ১০টা থেকেই মহাপঞ্চায়েতে মানুষ আসতে শুরু করে। হাজার হাজার গাড়িতে মানুষ এসে পৌঁছেছিল। ভবিষ্যতে বিজয় বৈঁসলার পদক্ষেপ কী হবে, তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলেন। বিগত ৪৮ ঘন্টা ধরে, রাজস্থানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং বেধামও গুর্জর সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করছিলেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে নিজের বক্তব্য তুলে ধরছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন: সোনমকে মারা হয়নি, বেঁচে আছেন তিনি, একটি ঘটনাতেই বুঝে যায় পুলিশ! কী জানেন? মেঘালয় কাণ্ডে সন্দেহ কেন ঘুরল সোনমের দিকে?

গুর্জর সংরক্ষণ কমিটি সরকারের সামনে ৭টি দাবি পেশ করে। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল, এমবিসি (সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণী) কোটা সংবিধানের ৯ম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে তাঁরা আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন। পূর্ববর্তী আন্দোলনগুলিতে করা চুক্তিগুলি অবিলম্বে বাস্তবায়িত করার দাবি ছিল। গুর্জর সম্প্রদায়কে সরকারি চাকরিতে ৫% সংরক্ষণের পূর্ণ সুবিধা দেওয়ার দাবি ছিল। দেবনারায়ণ প্রকল্প কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত করার দাবি ছিল। ২০০৬ সাল থেকে চলমান আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত সমস্ত পুলিশ মামলা প্রত্যাহার করার দাবি ছিল। বিগত ৬টি বড় আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার দাবি ছিল। সবশেষে, REET নিয়োগে MBC-এর অধীনে ৩৭২টি শূন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করার দাবি ছিল। বিজয় বৈঁসলা বিকেল ৩.৩০ মিনিটে মঞ্চে উঠে এই দাবিগুলির জবাবে সরকারের প্রস্তাব পড়ে শোনান।

advertisement

খসড়াটি পড়ার আগে উপস্থিত জনতাকে সম্বোধন করে বিজয় বৈঁসলা বলেন যে, তিনি এখনও এই প্রস্তাবটি পড়েননি। তিনি বলেন যে, রাজস্থান সরকার সংবিধানের নবম তফসিলে এমবিসি (সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণী) কোটা অন্তর্ভুক্ত করার দাবিটি মন্ত্রিসভার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠাবে। এটি বিগত ১০ বছর ধরে গুর্জর সম্প্রদায়ের একটি প্রধান দাবি।

বিজয় বৈঁসলা আরও বলেন যে, রাজস্থান সরকার প্রস্তাব করেছে যে, বিগত গুর্জর সংরক্ষণ আন্দোলনে নথিভুক্ত সমস্ত মামলা ৬০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। এই প্রস্তাব শুনে সেখানে হাজার হাজার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। এর পরে বিজয় বৈঁসলা এমন কিছু বলেন, যা উপস্থিত লোকজন পছন্দ করেননি। তিনি বলেন যে, আরইইটি নিয়োগে এমবিসি বিভাগের অধীনে ৩৭২টি শূন্য পদ পূরণের দাবিতে সরকারের খসড়ায় কিছুই নেই।

advertisement

বিজয় বৈঁসলার কথা শুনে, আরইইটি পরীক্ষায় বসা গুর্জর আন্দোলনকারীরা রেগে যান। তাঁরা সরাসরি পিলুপুরা দিল্লি-মুম্বই ট্র্যাকে ছুটে যান। তৎক্ষণাৎ একটি যাত্রীবাহী ট্রেন থামানো হয়। বিজয় বৈঁসলা সভা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর পথও আটকে দেওয়া হয়। মঞ্চে উপস্থিত ইউপির সরধনার সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক অতুল প্রধানও রেল ট্র্যাকের দিকে ছুটে যান। তিনি বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এদিকে, বিক্ষোভকারীরা ট্রেনের ইঞ্জিনে প্রয়াত কর্নেল কিরোরি সিং বৈঁসলার ছবিও লাগিয়ে দেন। কিছু বিক্ষোভকারী বিজয় বৈঁসলার বিরুদ্ধে সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তোলেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

তবে, রেল প্রশাসনের তৎপরতা এবং রাজস্থান পুলিশের কঠোর পরিশ্রমের পর, ২ ঘন্টা পর রেল ট্র্যাক চালু করা হয়। এখন দিল্লি-মুম্বই রুটে উভয় দিক থেকে ট্রেন চলাচল করছে। সোগারিয়া ট্রেনটি কিছু সময়ের জন্য সওয়াই মাধোপুরে থেমেছিল, তবে সেটিও এখন দিল্লির দিকে পাঠানো হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Gurjar Aandolan: সরকার মেনে নিয়েছিল দাবি, বিজয় বৈঁসলাও খুশি ছিলেন, আচমকা গুর্জর সংরক্ষণ আন্দোলনের আগুন কেন জ্বলে উঠল?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল