রাজকোটে শনিবার ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ৷ রাজকোট পশ্চিম থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি ৷ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের ইন্দ্রনীল রাজগুরু ৷ আগামী ১৪ ডিসেম্বর গুজরাতে দ্বিতীয় দফার ভোট ৷ ১৮ ডিসেম্বর হবে ভোটের ফলপ্রকাশ ৷ আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত গুজরাটে ভোট পড়েছে ১৫ শতাংশ ৷
মোদিকে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘ছোটলোক’ কটাক্ষ, গুজরাট নির্বাচনের প্রথম দফায় কিছুটা এগিয়ে দিল বিজেপিকে। যদিও, কংগ্রেসের সেই ক্ষত খানিকটা ঢেকে দিয়েছে গতকাল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ নানা প্যাটেলের পদত্যাগ। যদিও, দেশের পশ্চিম প্রান্তের ওই রাজ্যের প্রথমপর্বের লড়াইয়ে মূল ফ্যাক্টর প্যাটেল ও পাতিদাররা।
advertisement
ভোট নয়, যেন সদ্য ছুঁয়ে যাওয়া সাইক্লোন অক্ষির ভরকেন্দ্র গুজরাত। শনিবার মোদির রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। যা কিনা পদ্মশিবিরের মর্যাদার লড়াইও বটে। রাজ্যের ১৯টি জেলায় ভোটবাক্স কার দখলে যাবে ? বিজেপি বনাম কংগ্রেসের লড়াইয়ে হার্দিক কি আদৌ ফ্যাক্টর হবেন ? উত্তর খোঁজা শুরু।
আজ, শনিবার ভোট কচ্ছ, সুন্দরনগর, মোরবি, রাজকোট, জামনগর, দ্বারকা ও পোরবন্দরে। ভোট রয়েছে জুনাগড়, গির সোমনাথ আমরেলি, ভাবনগর ও বোতাড় জেলায়। এছাড়া প্রথম দফার নির্বাচনের আওতায় পড়ছে নর্মদা, ভারুচ, তাপি, ড্যাংস, নভসারি, ভালসার ও সুরাত। প্রথম দফায় মোট ১৮২ আসনের মধ্যে ৮৯ আসনে ভোট হবে।
প্রথম দফার রাজনৈতিক চিত্র
- সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রাজকোট পশ্চিম
- ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি
- ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রনীল রাজগুরু
- প্রথম দফায় ৮৯ আসনের মধ্যে ৩০ আসনে প্যাটেল ও পাতিদারদের জোরাল প্রভাব রয়েছে
- এছাড়াও, আরও ৪ আসনে প্যাটেলদের খানিকটা প্রভাব রয়েছে
- ৭ আসনে দলিতদের জোরাল প্রভাব রয়েছে
- সুরাতের মতো ব্যবসায়িক কেন্দ্রে ২ আসনে নোটবন্দি ও জিএসটির জোরাল প্রভাব পড়তে পারে
- ভারুচ জেলার ঝগড়িয়া-সহ ২ আসনে জোরাল প্রভাব রয়েছে জনতা দল ইউনাইটেডের দলিত নেতা ছোটু ভাসাভার
প্যাটেল ও পতিদার আন্দোলন
হার্দিক প্যাটেল, অল্পেশ ঠাকুর ও জিগ্নেশ মেবানিদের আন্দোলনের জেরে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। ফলে, প্রথমদফায় অর্ধেকেরও বেশি আসন নিয়ে চিন্তায় গেরুয়াশিবির। পরিস্থিতি সামাল দিতে সূক্ষ চাল দিয়েছে বিজেপি। প্যাটেল ও পাতিদারদের একটি বড় অংশ স্বামীনারায়ণ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ৷ সেই সূত্র ধরেই তাদের নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি ৷ গির সোমনাথ জেলার উনায় দলিত নিগ্রহের ঘটনা বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছে।
বিজেপির পাল্টা চাল
সংঘের মাধ্যমে দলিত এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিকেই সামনে রাখছে প্রথম দফার নির্বাচনের আগে মণিশঙ্কর আইয়ারের বক্তব্যে বিপাকে কংগ্রেস। আর তা হাতিয়ার করে গুজরাটের মানুষের ভাবাবেগ জাগিয়ে তুলতে চাইছে বিজেপি। প্রথমদফায়, মূল লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। কিন্তু, চালক সেই প্যাটেল ও পতিদাররাই। যদিও সামান্য এগিয়ে গেরুয়াশিবির।