মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়৷ শুনানি চলাকালীন সওয়ালে আদালতে এই অভিযোগও উঠে আসে যে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার এই ধরনের সেতু সংস্কারের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না৷ ফরেন্সিক রিপোর্টের উল্লেখ করে দাবি করা হয়, মেরামতির সময় সেতুর মেঝে বদলানো হলেও সেতুর ভার বহনকারী পুরনো লোহার দড়িগুলি বদলানো হয়নি৷ তাই নতুন মেঝের ভার সহ্য করতে না পেরেই দড়িগুলি ছিঁড়ে পড়ে বলে অভিযোগ৷ সওয়াল জবাবের পর ধৃত পাঁচ জনকেই শনিবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷
advertisement
শুধু তাই নয়, গুজরাত সরকারের তদন্তেই প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে, সেতু সংস্কারের নামে সেতুর ভার ধরে রাখা লোহার তারগুলি শুধুমাত্র রং করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ পাশাপাশি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা অজন্তা ওরেভাকে যেভাবে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তদন্তে উঠে এসেছে, কোনও বিশেষজ্ঞের নজরদারি ছাড়া স্থানীয় ঠিকাদার এবং শ্রমিকদের দিয়েই সেতু সংস্কারের কাজ হয়েছিল৷
যাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা সংস্থার দুই ম্যানেজার দীপক পারেখ এবং দীনেশ দাভে৷ এ ছাড়াও রয়েছেন আরও দুই ঠিকাদার প্রকাশ পারমার এবং দেভাং পারমার৷
আরও পড়ুন: কাঁধে হাত রাখলেন, অভয় দিলেন, সেতু-বিপর্যয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে মোরবির সিভিল হাসপাতালে মোদি
এক আইনজীবী জানিয়েছেন, মুখবন্ধ খামেই আদালতে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়েছে৷ কিন্তু এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই সেতুর তারগুলি বদল করা হয়নি৷ শুধুমাত্র মেঝে বদলানো হয়েছিল৷ চারটি স্তরের অ্যালমুনিয়ামের শিটের নতুন মেঝে লাগানোর ফলে সেতুর ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছিল৷ তার উপরে দুর্ঘটনার সময় সেতুতে প্রায় চারশো মানুষ ছিলেন৷ সেই ভার ধরে রাখতে না পেরেই লোহার তারগুলি ছিঁড়ে পড়ে৷'
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা দুই ঠিকাদারেরই এই ধরনের সেতু সংস্কারের কোনও প্রশিক্ষণ ছিল না বলে অভিযোগ৷ তা সত্ত্বেও ওই একই ঠিকাদারদের প্রথমে ২০০৭ সালে এবং তার পরে ফের ২০২২ সালে সেতু সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ সেই কারণেই ওই অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে কেন তাঁদেরকেই বার বার সেতু সংস্তারের দায়িত্ব দেওয়া হল এবং কার নির্দেশ বা প্রভাবে তাঁরা এই দায়িত্ব পেলে তা জানা প্রয়োজন বলেও আদালতে সওয়াল করেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী৷