পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সময় সেতুর উপরে বহু গাড়ি ছিল। সেতু ভেঙে পড়ায় নদীতে তলিয়ে গিয়েছে বহু গাড়ি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গুজরাতের মন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল জানান এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সৌরাষ্ট্র এবং মধ্য গুজরাতের সংযোগকারী এই সেতু আনন্দ, পাদরাকে যুক্ত করত। আজ সকালে এই সেতুই ভেঙে পড়ে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।”
advertisement
সেতুর ভগ্নদশা নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী ঋষিকেশ। এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা তিনি জানান সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবেই হত।
আরও পড়ুন: ফুয়েল সুইচ ব্যবহারেই ভুল! আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে…
তিনি বলেন, ” ১৯৮৫ সালে এই সেতু তৈরি হলেও, এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ সময় সময় পর্যাপ্ত ভাবেই হত। তারপরেও এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।”
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ভদোদরা জেলার পাদরায় আচমকাই ভেঙে পড়ে এই সেতু। মহিসাগর নদীর মধ্যে তলিয়ে যায় একের পর এক গাড়ি।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, মোট পাঁচটি গাড়ির মধ্যে, দু’টি ট্রাক এবং দু’টি ভ্যান নদীতে তলিয়ে গিয়েছে।
সড়ক উন্নয়ন দফতরের সচিব পিআর প্যাটেলিয়া জানান, এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছান তাঁদের বিশেষ দল। তিনি বলেন, “গম্ভীরা সেতুর দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই আমাদের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।” পুলিশ, দমকল-সহ উদ্ধারকারীকর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দ এলাকার সুপারিন্টেনডেন্ট গৌরব জয়সওয়াল বলেন, “আনন্দ এবং ভদোদরার সংযোগকারী এই সেতু হঠাৎ ভেঙে পড়ে। বেশ কিছু গাড়ি নদীতে তলিয়ে যায়। উদ্ধারকাজ পুরোদমে চলছে”। উদ্ধারকাজ চললেও ব্যস্ত সময়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।