ভিডিও ফুটেজে শোনা যায়, সেই মা আর্তনাদ করছেন, “মারো ছোকরা ডুবি গায়ো” (আমার ছেলে জলে ডুবে যাচ্ছে)৷ গাড়িটি সেই সময় ভয়ঙ্করভাবে ফুলে ওঠা মহিসাগর নদীর মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: দিদির নামে সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল বাবা! রেগে দু’জনকেই চরম শিক্ষা দিল ভাই, জানুন ঘটনাটি…
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা—মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে ও জামাই—বাগদানা যাচ্ছিলেন। ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়লে গাড়িটি নদীতে পড়ে যায়। মা পিছনের সিটে বসা ছিলেন এবং জানালার কাঁচ ভেঙে কোনও রকমে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু গাড়ির দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যাওয়ায় বাকিরা ভিতরেই আটকে পড়ে এবং গাড়িটি ডুবে যায়।
advertisement
বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে দুই ভাইবোনও ছিলেন। এছাড়া আরও অনেকে আহত হন। একটি প্রায় ৪০ বছরের পুরনো গম্ভীরা ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে পড়ার পর একাধিক গাড়ি নদীতে পড়ে যায়। নয় জনকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার রোহন আনন্দ জানিয়েছেন, প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের দুটি পিয়ারের মাঝখানের স্ল্যাবটি ভেঙে পড়ে, ফলে গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক, অটো-রিকশা ও একটি দুই চাকার যান নদীতে পড়ে যায়।
নিকটবর্তী কয়েকটি গাড়ি অল্পের জন্য পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচে এবং তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভদোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া।
গুজরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেল জানান, ব্রিজ ভেঙে পড়ার সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি সেটির উপর ছিল। অন্তত পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সালে উদ্বোধন হওয়া এই ব্রিজটি বহু বছর ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যেই হঠাৎ ভেঙে পড়ে।
এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল শোকপ্রকাশ করেন। মৃতদের পরিজনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী ২ লক্ষ টাকা ও মুখ্যমন্ত্রী ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার কথাও জানানো হয়েছে।