সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাতের হালভাদের উমা টাউনশিপের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিবেশী হার্দিক ফালদু নামে এক ব্যক্তিও তাঁর স্ত্রী মিরালবেন এবং চার বছরের ছেলে জিয়াংশকে নিয়ে রবিবার বিকেলে মোরবি সেতুতে বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ হার্দিকের খুড়তুতো ভাই হর্ষ জালাভাদিয়া এবং তাঁর স্ত্রীও এই কেবল ব্রিজে বেড়াতে যান৷
advertisement
এই দুর্ঘটনায় হার্দিক এবং তাঁর স্ত্রী মিরালের মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু সৌভাগ্যবশত বেঁচে গিয়েছে তাঁদের চার বছরের ছেলে জিয়াংশ৷ ছোট্ট জিয়াংশের কাকা হর্ষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তাঁর স্ত্রী অবশ্য প্রাণ হারিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: 'অ্যাক্ট অব ফ্রড' তত্ত্ব? সেতু বিপর্যয়ে মোদিকে ২০১৬-র বাংলা স্মরণ করালেন দিগ্বিজয় সিং
মোরবির স্থানীয় হাসপাতালে এই মুহূর্তে মন খারাপ করে দেওয়া ছবি৷ একদিকে চলছে দেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া৷ অন্যদিকে চলছে ময়নাতদন্ত৷ অধিকাংশ দেহই এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি৷ প্রিয়জনদের খোঁজে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ৷
মাচ্ছু নদীর উপরে মোরবির এই শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতুটি পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ ছিল৷ রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় ভিড়ও ছিল বেশি৷ বাবা-মায়ের হাত ধরে সেতুতে ভিড় জমিয়েছিল অনেক শিশুও৷ ফলে দুর্ঘটনায় অন্তত পঁচিশটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর মিলেছে৷