উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা, বাজারগুলিতে কাঁচা লঙ্কা বিকোচ্ছে ৩০০ টাকা কিলো দরে। দু’ দিন আগেও এই লঙ্কা কিনেছে কেউ কেউ ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বেগুন থেকে শুরু করে উচ্ছে, করলা সব ১০০ পার। বাজারে এসে সবজিতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা লাগছে দামের।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের বাজার দর-
advertisement
গড়িয়াহাট বাজার বাজারদর (কেজি প্রতি)
কাঁচা লঙ্কা ৩০০ টাকা।
ধনেপাতা ২৫০ টাকা।
ক্যাপসিকাম ১২০ থেকে ১৮০ টাকা।
বেগুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
বিনস ১৫০ টাকা।
টমেটো ১২০ টাকা।
উচ্ছে ১০০ টাকা।
সজনে ডাটা ১০০ টাকা।
বরবটি ১০০ টাকা।
ঝিঙে ৮০ টাকা।
শসা ৭০ টাকা
পেঁপে ৪০ টাকা।
ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি পিস।
গাজর ৬০ টাকা।
চাল কুমড়ো ৮০ টাকা।
পটল ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
লাউ ৪০ টাকা প্রতি পিস।
ঢেঁড়স ৮০ টাকা।
কাঁকরোল ৮০ টাকা।
কুমড়ো ৩০ টাকা।
আদা ৩০০ টাকা।
রসুন ২০০ টাকা।
আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা।
পেঁয়াজ ৩০ টাকা।
গড়িয়াহাট বাজারের বিক্রেতা সেন্টু সরদার বলেন, ‘শুক্রবারেও ২০০ টাকা কেজি ধরে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করেছি। করোনার সময়ও কাঁচা লঙ্কা ৩০০ টাকায় বিক্রি করিনি আজ যেটা করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতারা যারা ১০০ লঙ্কা নিতেন তারা ৫০ লঙ্কা নিচ্ছেন। কার্যত আমাদের লাভের গুড় পিঁপড়ে খাচ্ছে।’
গড়িয়াহাট বাজারে বাজার করতে আসা শিউলি ভট্টাচার্য বলেন, ‘কী করব বলুন দাম বেশি হলেও কিনতেও হবে, খেতেও হবে!’ শিউলি দেবীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘কেন বাড়ছে বলুন তো দামটা?’
শুধু দক্ষিণ কলকাতা নয়, উত্তর কলকাতাতেও চিত্রটা একটুও বদলায়নি। উত্তর কলকাতার হাতিবাগান বাজারেও কমবেশি একই রকম বাজার দর সবজির। অন্তত আদা বা কাঁচালঙ্কা তে তো কোনও ফারাক নেই উত্তর দক্ষিণে।
হাতিবাগান বাজার বাজারদর (কেজি প্রতি)
কাঁচা লঙ্কা ৩০০ টাকা।
ধনেপাতা ২৫০ টাকা।
ক্যাপসিকাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
বেগুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।
বিনস ১৫০ টাকা।
টমেটো ১২০ টাকা।
উচ্ছে ১০০ টাকা।
সজনে ডাটা ১০০ টাকা।
বরবটি ১০০ টাকা।
ঝিঙে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
শসা ৮০ টাকা
পেঁপে ৪০ টাকা।
ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি পিস।
গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
চাল কুমড়ো ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি পিস।
পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
লাউ ৪০ টাকা প্রতি পিস।
ঢেঁড়স ৮০ টাকা।
কাঁকরোল ৭০ টাকা।
কুমড়ো ৩০ টাকা।
আদা ৩০০ টাকা।
রসুন ২০০ টাকা।
হাতিবাগান বাজারের বিক্রেতা মন্টু সরকার বলেন, ‘অনেক ক্রেতাই ভুল বুঝছেন আমাদের। প্রতিদিন যদি এরকম লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ে তাহলে কি করে ক্রেতাদের বোঝাবো? কেন দাম বাড়ছে সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছেও নেই৷ যেমন কিনছি সেই রকম বিক্রি করছি।’
সবজির বাজার দর আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু কেন দাম এত বাড়ছে? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই ক্রেতা বিক্রেতা কারও কাছেই। আর ভোটে ব্যস্ত-প্রশাসনের নজর নেই বাজার দরে। এরই মাঝে জাঁতাকলে পড়ে শাঁখের করাত অবস্থা আম জনতার।