সুষমা স্বরাজের আমলে বিদেশমন্ত্রক এতদিন জটিল সব সমস্যার চটজলদি সমাধান করেছে। অথচ ইরাকে ভারতীয়দের গণহত্যায় এখন কাঠগড়ায় সেই বিদেশমন্ত্রক। ইরাকের মসুলে আইএসের হাতে খুন হওয়া ৩৯ জনের পরিবার গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ। গত চার বছর ধরে দুশ্চিন্তা থাকলেও, মিরাকলের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কেন্দ্রের টানা আশ্বাস তাতে ভরসা যুগিয়েছিল। বিশ্বাসটা টলল মঙ্গলবারের সকালে। সংসদ থেকে এল সেই দুঃসংবাদ। টিভিতে খবর শুনে নিজের কানেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পরিজনরা।
advertisement
ইরাকে নিহত ৩৯ জন ভারতীয়র মধ্যে পঞ্জাবেরই ২৭ জন। জলন্ধর, অমৃতসর, ভাতিন্ডার মহল্লায় এখন কান্নার রোল। জলন্ধরের সুরজিৎ মৈনাক পেশায় কাঠ মিস্ত্রি। আড়াই লাখ টাকা দিয়ে মসুল গিয়েছিলেন সুরজিৎ। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য ফেরানো আর হল না।
এরপরেও সরকারের প্রতি বিশ্বাস? হা হুতাশ যাচ্ছে না মনজিত কউরের। তাঁর স্বামী দাবিন্দর ২০১১ সালে ইরাক যান। আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় সব যোগাযোগ। তবু সরকারের তরফে শুনে এসেছেন আশ্বাস। এরপর আর কাকে বিশ্বাস করবেন?
সংসদে দাঁড়িয়ে সুষমা স্বরাজের ঘোষণা, ভারত প্রথম কোনও দেশ যারা ইরাক থেকে এতগুলো মরদেহ ফেরাতে পারছে। হয়তো কথাটা ঠিক। কিন্তু বিদেশমন্ত্রীর এই ঘোষণায় লুকনো অহংয়ের নীচে কত কান্না জমে, তা কি বুঝবে সাউথ ব্লক?