এতদিন ৪৯ শতাংশের বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর ছাড়পত্র নিতে হত। নয়া নীতিতে সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকে গতি দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে ট্যুইট করে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষণা বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করেছে ভারত। ক্ষমতায় এসে সেই ছবিটাই পাল্টাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতবছর নভেম্বরে প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা অনেকটাই খুলে দিয়েছিলেন। তাঁর 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নীতির কেন্দ্রবিন্দুতেও ছিল প্রতিরক্ষা ৷
advertisement
কিন্তু এতকিছুর পরও বড়মাপের প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ আসেনি ভারতে। এখনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ৬০ শতাংশের বেশি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে আরও সাহসী পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের দরজা পুরোপুরি খুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এতদিন প্রতিরক্ষায় ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে অনুমতি ছিল ৷ এর বেশি বিনিয়োগে বাধ্যতামূলক ছিল নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর ছাড়পত্র ৷ শুধুমাত্র 'অত্যাধুনিক' প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করার ছাড়পত্র ছিল ৷
প্রতিরক্ষায় নয়া FDI নয়া নীতি দেখে নেওয়া যাক এক নজরে,
- নয়া নীতিতে প্রতিরক্ষায় সরাসরি ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে সায়
- 'অত্যাধুনিক' প্রযুক্তি ছাড়াও ৪৯ শতাংশের বেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র
- ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ তৈরিতেও ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করবে নয়াদিল্লি। সেই খরচের একটা বড় অংশই দেশীয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চায় মোদি প্রশাসন। নয়া এফডিআই নীতিতে সেই লক্ষ্যমাত্র পূরণ করা সম্ভব বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক।