ছত্রপতি শম্ভাজিনগর স্পোর্টস কমপ্লেক্স প্রশাসনের থেকে ইন্টারনেট জালিয়াতি করে এই বিপুল টাকা হর্ষ কুমার এবং আরেক চুক্তিভিত্তিক মহিলা কর্মী এবং তাঁর স্বামী হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে হর্ষ পলাতক। বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, জালিয়াতির টাকায় হর্ষ একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং একটি বিএমডব্লিউ বাইক কিনেছিলেন। এয়ারপোর্টের উল্টোদিকের অ্যাপার্টমেন্টে একটি ৪ বিএইচকে ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন বান্ধবীকে। শুধু তাই নয়, নিউজ 18 মারাঠি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহরের একটি নামি জুয়েলারির শো-রুম থেকে হীরে বসানো চশমারও অর্ডার করেছিলেন হর্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! ভারত থেকে বাংলাদেশে বাক্সের মধ্যে কী পাচার হচ্ছিল! দেখে আঁতকে উঠল BSF-ও
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নামে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এই অ্যাকাউন্টেই সরকারি অনুদানের টাকা ঢুকত। লেনদেনের জন্য ডেপুটি স্পোর্টস ডিরেক্টরের সই করা চেকের প্রয়োজন ছিল। অভিযোগ, কমপ্লেক্সের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হর্ষ কুমার ক্ষীরসাগর, যশোদা শেট্টি এবং তাঁর স্বামী বি কে জীবন ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করে ব্যাঙ্কে দেন। এভাবেই ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং চালু হয়। ব্যস, সরকারি অনুদানের টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নিতেন ওই তিন কর্মী। প্রায় ৬ মাস পর জালিয়াতি কাণ্ড ডেপুটি ডিরেক্টরের নজরে আসে। হইচই পড়ে যায়। তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিএম ডব্লিউ গাড়ির দাম ১.২ কোটি টাকা। বিএমডব্লিউ বাইকটির দাম ৩২ লাখ টাকা। বিপুল টাকা দিয়ে একটি এসইউভি-ও কিনেছিলেন হর্ষ। পুলিশ ইতিমধ্যেই বিএমডব্লিউ বাইক এবং গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ১২টি অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন।
শুধু প্রেমিকা নয়, বন্ধুকেও একটি ২ বিএইচকে লাক্সারি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন হর্ষ। গোটা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জালিয়াতির টাকায় আর কোথাও কোনও সম্পত্তি কেনা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।