বরফের চাদরে ঢাকা গুলমার্গ, ডাল লেকে শিকারা, সোনমার্গ, পহেলগামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপেক্ষা করা বোধ কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। আর বাঙালি হলে তো কথাই নেই... কাশ্মীর তাঁদের অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন। সেই বাঙালিই এখন কাশ্মীরে যেতে দুবার ভাবছেন। ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে ভূ-স্বর্গে পর্যটকদের জন্য ছিল নো-এন্ট্রি। নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হয় উপত্যকাকে। বন্ধ ছিল মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা। অশান্ত, অস্থির কাশ্মীরে পর্যটন ব্যবসা ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ধীরে ধীরে কাশ্মীরকে স্বাভাবিক করে তোলার পথে প্রশাসন। গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। চালু করা হল মোবাইল ফোন পরিষেবাও। মাস দুয়েক পর স্বর্গের দরজা খুলে গেল পর্যটকদের সামনে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার টুর অপারেটরদের কাছে কাশ্মীরে বেড়ানোর বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন পর্যটকরা। কিন্তু বুকিং সেভাবে এখনও হয়নি। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। কাশ্মীরে পর্যটনের মরসুম। অন্য বছরে এ সময়ে পর্যটকদের ভিড়ে দফতরে নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ থাকে না। কিন্তু এ বছর দার্জিলিং, হিমাচল, সিকিমে ঝুঁকছেন বাঙালিরা। কাশ্মীর নিয়ে সংশয়ে টুর অপারেটররা।
advertisement
গত বছর কাশ্মীরে মোট পর্যটকের মধ্যে ৬১.০৮ শতাংশ ছিল পশ্চিমবঙ্গের। পর্যটনের প্রসারে এ বছর বাংলায় এগারোটি রোড শো করে কাশ্মীর টুরিজম অ্যাসোসিয়েশন। পর্যটকদের উৎসাহ দিতে প্রশাসনকেই কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করছে আইওটিএ।
সোমবার থেকে কাশ্মীরে পোস্টপেড মোবাইল ফোন পরিষেবা চালু হচ্ছে। এই ঘোষণার মাঝে শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা। ফের রক্তাক্ত ভূ-স্বর্গ। এই রক্তপাত কি নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে পর্যটকদের মনে? নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে টুর অপারটদের মধ্যে।