দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার মধ্যে পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম। তা হলে কি এবার জ্বালানি ও রান্নার গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধি বিজেপির ভোটব্যাংকে ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে! সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও দুমাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে সরকার চাইলে দাম কিছুটা যে কমাতে পারে তার আন্দাজ এদিন পাওয়া গেল।
লোকসভায় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এক লিটার পেট্রোল-ডিজেল থেকে কেন্দ্র কত টাকা উপার্জন করছে!পয়লা জানুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত সরকার এক লিটার পেট্রোল থেকে কুড়ি টাকা উপার্জন করত। প্রতি লিটার ডিজেল থেকে সরকার ঘরে তুলত ১৬ টাকা। তবে ৬ মে ২০২০-র পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে ৩৩ টাকা লাভ করছে। আর ডিজেল থেকে লিটার প্রতি আসছে ৩২ টাকা করে। অর্থাৎ পকেট ভরছে কেন্দ্রের। এদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা মধ্যবিত্তের। পেট্রোল-ডিজেলের ক্ষেত্রে এক্সাইজ ডিউটি, সেস ও সারচার্জ থেকে সরকারের ব্যাপক উপার্জন হয়। একথা এদিন লোকসভায় স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি।
advertisement
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কি সরকার চাইলে কমাতে পারে না? যেখানে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করে! অন্য দেশের তুলনায় ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অনেকটই বেশি। আর তার কারণ সরকারের কর।
এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, দুপক্ষই লাভ তোলে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে পেট্রোল ডিজেল বেচে যা আয় হয় তার ৪৪ শতাংশ যায় রাজ্যের কোটায়। তাই দাম কমানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকার পেট্রল ডিজেল থেকে বড় অংকের লাভ তুলতে চাইছে। একথাও স্বীকার করছে সরকার পক্ষ।