টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত জানিয়েছে, “এটাই ধর্মান্ধতা, ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করার সমস্ত সমস্যার মূল কারণ।” বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন এবং ডি ভরথ চক্রবর্তীকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, ধর্ম, বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য রক্ষিত হাইওয়ে সম্পত্তি দখল করতে পারে না আবেদনকারী।
বিচারকরা আরও বলেন, “আবেদনকারী যদি ভক্তদের বিনয়গরের উপাসনার সুযোগ সুবিধা নিয়ে এতই চিন্তিত হন, তাহলে নিজের অনাদায়ী জমি বা মন্দিরের জন্য বরাদ্দ করা জমি, যদি থাকে, সেই স্থানে ঈশ্বরের মূর্তি স্থানান্তরিত করতে পারেন।”
advertisement
আরও পড়ুন- নমামি গোবিন্দ! গোবর, গোমূত্র, ঘি, দুধ মিলিয়ে এবার পঞ্চগব্য তৈরি তিরুপতি মন্দিরে
তামিলনাড়ুর পেরাম্বলুর জেলার ভেপ্পানথাতাইতে একটি মন্দির অপসারণের নির্দেশ দিয়ে রাজ্য মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক জারি করা নোটিশ বাতিল করতে চেয়ে এস পেরিয়াসামির দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতেই এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
আবেদনকারী পেরিয়াসামি মন্দিরের একজন ট্রাস্টি। তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরটি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই স্থানে রয়েছে এবং জনসাধারণ বা পরিবহন ব্যবস্থাকে কোনও বাধা না দিয়েই তা নির্মিত হয়েছিল।
“যদিও আবেদনকারী বলেছেন যে মন্দিরটি তিন দশক আগে নির্মিত হয়েছিল এবং জমিটি মন্দিরেরই ছিল, তবে তিনি তাঁর দাবি আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিচ্ছেন না কেন?” প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
আরও পড়ুন- করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে এই প্রথম সংক্রমণহীন ধারাভি বস্তি!
মন্দিরটি যে জনসাধারণের জন্য কোনও বাধা সৃষ্টি করেনি বা সর্বত্র যান চলাচলের অবাধ প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করেনি এবং এটি শুধুমাত্র উপাসনার উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে তা আদালতে গ্রহণ করা যাবে না। কারণ, প্রথমত, জমিটি যে ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আবেদনকারী এমন তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, জানান বিচারকরা।
তাছাড়া, যদি আবেদনকারীর আবেদন গৃহীত হয়, তাহলে প্রত্যেকেই সরকারি জমি দখল করবে এবং দাবি করবে যে জনসাধারণের কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তাহলে এইভাবে তাদের অবৈধ দখল চালিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া উচিত, জানিয়েছে আদালত।