এই অগ্নিকাণ্ডে সাত জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জনের শরীরের ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ বলেছে, মৃতদের মধ্যে মাত্র দুই জনের মৃত্যু দগ্ধ হওয়ার কারণে, বাকিরা ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কর্মীদের পালানোর প্রায় কোনও সুযোগই ছিল না।
ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। ক্লাবের ঘনবদ্ধ অভ্যন্তরীণ অংশে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় অনেক কর্মীকে সময়মতো উদ্ধার করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিয়মিত বন্ধের প্রস্তুতির সময় রান্নাঘরে গ্যাস লিক হয় এবং সেই থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঠিক কী কারণে গ্যাস লিক হয়েছিল, তা জানতে ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনও ঘটনার সম্পূর্ণ ক্রমপর্যায় খতিয়ে দেখতে আলাদা তদন্ত চালাচ্ছে।
advertisement
ঘটনার পর নাইটক্লাবটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। মালিক ও ম্যানেজারদের নিরাপত্তা বিধি, জরুরি নির্গমনপথ এবং অগ্নি ও গ্যাস সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলা হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডিজিপি জানিয়েছেন, গ্যাস সংযোগের অবস্থান, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং নির্গমন পরিকল্পনা—সমস্ত কিছুই এই তদন্তের আওতায় আসবে।
মৃতদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধারকারী দল তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইট করে একে “অত্যন্ত মর্মান্তিক” বলে অভিহিত করেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ন্তের সঙ্গে কথা বলেছেন। মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।
অরপরার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের পর এলাকায় অবস্থিত সমস্ত ক্লাবে অগ্নিনিরাপত্তা অডিট বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক মাইকেল লোবো। বৈধ অগ্নিনিরাপত্তা অনুমতি দেখাতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
