ঘটনাটি ঘটেছে যোধপুরে ৷ দিব্যার যখন তিন বছর বয়স ৷ সেই সময়ই জীভরাজ বলে একটি ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে স্থির করেন দিব্যার মা বাবা ৷ কিন্তু বিয়ে কি ? সেই বিষয়টি একেবারেই অজানা ছিল দিব্যার কাছে ৷ তাই বিয়ে স্থির হলেও হেসে খেলেই দিন কাটছিল দিব্যার ৷ কিন্তু দিব্যার বয়স ২০-র কোঠা পেরোতেই শুরু হল সমস্যা ৷ জীভরাজের বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ আসতে লাগল ৷ শুধু জীভরাজের বাড়ি থেকেই নয় ৷ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও বিয়ের জন্য চাপ আসতে লাগল দিব্যার উপর ৷ কিন্তু সেই বিয়েতে অরাজি হওয়াতেই দিব্যাকে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলেন গ্রামের মোড়ল ৷ মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: পাক সেনার সদর দফতরে হামলা ভারতের
জীভরাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দিব্যা ৷ কিন্তু এতে সমস্যা আরও বাড়ে ৷ থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পেতেই গ্রামের মোড়লরা চড়াও হন দিব্যার উপর ৷ ১৫ লক্ষ টাকা থেকে জরিমানা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয় ৷ একইসঙ্গে গ্রামের সকল ব্যক্তির সামনে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় দিব্যা এবং তাঁর পরিবারকে ৷ পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে জীভরাজের বাড়ি থেকে বাড়ে বিয়ের চাপও ৷ অবশেষে, সোমবার রাতে দিব্যা ফের থানার দ্বারস্থ হন ৷ সেখানে গিয়ে সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন দিব্যা ৷
দিব্যা বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছি ৷ আমি জীবনে সসম্মানে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই ৷ কিন্তু পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ঢিলেমি দিচ্ছে ৷ তাই আর কোনও উপায় না দেখে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিই ৷’