সাল ২০১১। এক নাবালিকাকে উপহারের লোভ দেখিয়ে ডেকে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন তাঁরই এক আত্মীয়। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল মেয়েটি। একটি গাড়ি আসছিল, তাঁদের কাছে সাহায্য় চেয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল নাবালিকা।
প্রসঙ্গত, সেই সময় ক্লাস ১০-এর ছাত্রী, তাঁকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে দুই গাড়ির যাত্রী।
আরও পড়ুন : গুলিবিদ্ধ ইমরান খান! কতটা আহত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? রইল বিস্তারিত
advertisement
নিম্ন আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
তিনজন ব্যক্তি উচ্চ আদালতের সামনে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করাকে এবং সাজাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু নিম্ন আদালত আপিল খারিজ করে এবং কোর্টের রায় বহাল রাখে।
আরও পড়ুন : বিয়ের পরেই দাম্পত্য যৌনতায় ভাটা? মিলনের সময় মাথায় রাখুন এই ৫ টোটকা
বিচারপতি মুক্তা গুপ্তা ও বিচারপতি অনীশ দয়াল জানান, "প্রথম দোষীর ভিকটিমের সঙ্গে একটি বিশ্বস্ত সম্পর্ক ছিল এবং সেই সম্পর্কের কথা বলে সে ভিকটিমের বাবা-মাকে প্রতারণা করে। ভিকটিমকে তাঁর সঙ্গে পাঠায় তাঁরা। এভাবে তাঁর সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে খুব পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাবালিকাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে।"
আর দুজন ধৃত ব্য়ক্তি- বিনোদ কুমার এবং পরভিন কুমার। মেয়েটি তাঁদের কাছে সাহায্য় চেয়েছিল এবং বাড়ি যেতে চেয়েছিল। তাঁকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন তাঁরা।
বেঞ্চ জানান, “আপীলকারীদের দ্বারা যে পদ্ধতিতে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা বিবেচনা করে, আপিলকারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়…।"