তবে নতুন দল গঠন করলেও এখনও তার নাম বা পতাকা চূড়ান্ত করেননি আজাদ। জম্মুর জনসভায় তিনি বলেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষই আমার দলের নাম ঠিক করবেন। হিন্দুস্তানি নাম দেওয়া হবে, যেন সকলে সেই নাম বুঝতে পারেন।” আজাদ জানিয়েছেন, কাশ্মীরকে ফের একটি রাজ্য হিসাবে তৈরি করতে চান তিনি। জনসভায় আজাদ বলেছেন, “আমার দলের প্রধান কাজ, কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের মানুষ যেন স্থানীয় চাকরিতে গুরুত্ব পান, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।”
advertisement
নতুন দল ঘোষণার পাশাপাশি এদিন ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন আজাদ। তিনি বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিঃশর্তে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নেবে তাঁর দল। শুধুমাত্র ফিরে আসা নয়, কাশ্মীরে যেন তাঁরা নিরাপদে বসবাস করতে পারেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে। জনসভায় আজাদ বলেছেন, “কাশ্মীরি পণ্ডিতদের টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই হত্যালীলা বন্ধ করা দরকার। কাশ্মীরে মানবাধিকার ফিরিয়ে আনবে তাঁর দল, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আজাদ।
দিনকয়েক আগে কংগ্রেস ছাড়ার সময়েই রাহুল গান্ধির তীব্র সমালোচনা করেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ। তাঁর মতে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা নেই রাহুলের। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও কেন দল ছাড়লেন, সেই প্রশ্ন নিয়ে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা আজাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আজাদ তাঁদের জানিয়েছেন, দলের একাংশ তাঁর প্রতি যে আচরণ করছিল, তা মেনে নিয়ে দলে থাকা সম্ভব ছিল না। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে আজাদ বলেন, “আমরা নিজেদের রক্ত দিয়ে কংগ্রেস গঠন করেছি। এখন অনেকে আমার নিন্দা করতে চাইছে, কিন্তু তাঁদের দৌড় ওই ট্যুইটার পর্যন্ত। কম্পিউটার বা ট্যুইটারে রাজনীতি হয় না।”
প্রসঙ্গত, আজাদ যাই বলুন না কেন, তাঁর দল ছাড়ার কারণ হিসাবে কংগ্রেস হয় কম্যান্ড বলেছে, আসলে মোদির ডিএনএ ঢুকে গিয়েছে আজাদের মধ্যে। সেই কারণেই কাশ্মীরে ভোটের আগে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছেন তিনি। রবিবার যেখানে দিল্লিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছে কংগ্রেস, অন্যদিকে কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে নতুন দলের কথা ঘোষণা করছেন আজাদ। উল্লেখ্য এই বছরের শেষেই কাশ্মীরে নির্বাচন রয়েছে। তার আগে প্রবীণ এই নেতার স্বতন্ত্র দল ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।