শুরুর দিকে শব্দটি নিয়ে চর্চা না হলেও দিন যত এগিয়েছে চর্চা তত বেড়েছে। অবশেষে এই নিয়ে আপত্তি উঠতে শুরু করে। গে শব্দটি হয়ে ওঠে অস্বস্তির কারণ। তাই এবার গয়া বিমানবন্দরের কোড বদলের পরামর্শ দিয়েছে জনগণ বিষয় সংসদীয় প্যানেল। তাঁরা এই নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
advertisement
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যাতে পরামর্শ দেওয়া হয়, গয়া বিমানবন্দরের কোড GAY থেকে YAG রাখার।
উল্লেখ্য, বিমানবন্দরের কোড তৈরি করে থাকে দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বা IATA। তারা স্বাভাবিক নিয়মেই গয়া বিমানবন্দরেরও কোড তৈরি করে। কিন্তু এই শব্দ নিয়ে ভারত সরকারের কাছে আপত্তি জানায় সংসদীয় প্যানেল। তাদের মতে, গয়া একটি পবিত্র স্থান। এমন সামঞ্জস্যহীন ও অস্বস্তিকর কোড না রাখলেই ভালো।
জানা গিয়েছে, সংসদে পেশ হওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বিষয়টি এয়ার ইন্ডিয়ার মাধ্যমে IATA-কে জানিয়েছে। তবে, IATA-র তরফে কোনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি। IATA কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিমানবন্দর তৈরির সময় এই কোড তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি অপরিবর্তনীয়। উড়ান নিরাপত্তা সংক্রান্ত জোরালো কারণ ছাড়া কোড বদল বর্তমানে অসম্ভব। তারা উল্লেখ করে, ৭৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও বিমানবন্দরের কোড স্থায়ী এবং নিরাপত্তা জনিত অনিবার্য কারণ ছাড়া বদল হয় না। ফলে এক্ষেত্রেও সেই নিয়মই মেনে চলা হবে।
অসামরিক বিমান মন্ত্রক সংসদীয় প্যানেলকে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে বিমান নিরাপত্তা সংক্রান্ত ন্যায্য কারণ ছাড়া IATA বিমানবন্দরের কোড পরিবর্তন করতে পারে না।
তবে, এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে কোড পরিবর্তনের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মন্ত্রকের উদ্যোগকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আরও একবার চেষ্টা করুক সরকার। IATA-সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগ বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোড পরিবর্তন হোক।
বিষয়টি বর্তমানে এই পর্যায়েই রয়েছে। কোড আদৌ পরির্তন হবে কি না তা জানা যায়নি। কোড পরিবর্তনের বিপক্ষেও অনেকে মত দিয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ এই খবর নিয়ে একাধিক মন্তব্যও করতে শুরু করেছেন।