দেখুনঃ মুকেশ আম্বানির গণেশ চতুর্থীতে হাজির ঐশ্বর্য রাই বচ্চন থেকে আলিয়া, কিয়ারা! দেখুন ভিডিও
গণপতি বাপ্পার আগমনের পরে আম্বানি পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে মিলে ভগবান গণেশের আরতি করেন। মুকেশ আম্বানি-নীতা আম্বানি থেকে শুরু করে আম্বানি পরিবারের বধূ শ্লোকা, এমনকী হবু বউমা রাধিকাও সেজে উঠেছিলেন ট্র্যাডিশনাল পোশাকে। ভগবান গণপতির মহা-আরতির সময় পরিবারের সদস্যরা একটি বড় থালায় প্রদীপ জ্বালিয়ে আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন।
advertisement
চলতি বছর রিলায়েন্সের গণেশ উৎসব উদযাপনের সাজসজ্জা হয়েছে মেক-ইন ইন্ডিয়ার অনুপ্রেরণায়। ভগবান গণপতির জন্য ট্র্যাডিশনাল পৈঠানির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। বলা ভাল, গোটা সাজসজ্জার পরতে পরতে রয়েছে ভারতীয় কারুশিল্পের ছোঁয়া। গণপতির মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশের শিল্পকলা। যেমন – লখনউয়ের জারদৌসি এবং ওড়িশার পেপার ম্যাশে শিল্প। ওড়িশার এই পেপার ম্যাশে শিল্পের মাধ্যমে এমনিতে মুখোশ তৈরির চল রয়েছে। আর যেহেতু এটা মহারাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান উৎসব, তাই আম্বানি পরিবারের গণপতি উৎসবে প্রতিফলিত হয়েছে মরাঠা সংস্কৃতি। আর তাই সাজসজ্জায় জায়গা পেয়েছে পৈঠানি। রিলায়েন্সের বক্তব্য, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন করা এবং তাঁদের জীবিকা বজায় রাখা।”
এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিলিয়াতে ভগবান গণেশের শোভাযাত্রা প্রস্তুতের কাজে হাত লাগিয়েছেন সাতশোরও বেশি মহিলা কারিগর। আর এই শোভাযাত্রার সাজসজ্জায় স্থান পেয়েছে ইঁদুর, হাতি এবং উট-সহ নানা খেলনা। রিলায়েন্স এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে, ভগবানের বিগ্রহের পিছনের দিকের দৃশ্যপট তৈরিতে কাজে লাগানো হয়েছে আঠা দিয়ে ফুল আটকানোর প্রাচীন শিল্প। আর এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন চারশোরও বেশি কারিগর।
দেখুনঃ মুকেশ আম্বানির আমন্ত্রণে অ্যান্টিলিয়ার গণেশ পুজোয় শাহরুখ-গৌরী, দেখুন ভিডিও
তবে আম্বানি পরিবারের গণপতি উৎসবের করিডোরটির সাজসজ্জার কথাও না বললেই নয়! এখানে সাজানো হয়েছিল ভগবান গণেশের ৩২টি রূপ। তার সঙ্গে গোটা এলাকাটি মুড়ে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল প্রায় ৫ লক্ষ ঘুঙুরের ট্যাপেস্ট্রি। আর এত পরিমাণ ঘুঙুরের মিঠে আওয়াজ গণপতি উৎসবে যেন একটা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। আর এই গোটা বিষয়টা প্রস্তুত করতে ৫০০০ ঘণ্টা ধরে কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছেন ৯০০ জনেরও বেশি দক্ষ কারিগর।