প্রশ্ন উঠছে—যেখানে পুলিশকর্মী মহিলারা নিরাপদ নন, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? রিঙ্কেলের দেহ উদ্ধার হয় নগ্ন অবস্থায় এবং শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে তাঁকে।
advertisement
নবমীর সকাল ঢাকল বিষাদে! বৃষ্টিতেই ‘সর্বনাশ’? পুজো মণ্ডপে বিরাট বিপর্যয়! দেখলে কেঁপে উঠবেন
ঘর থেকে উদ্ধার নগ্নদেহ
রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত মহিলা কনস্টেবল রিঙ্কেল আহমেদাবাদের শাহিবাগ পুলিশ সদর দফতরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভাই ও ভাবির সঙ্গে সেক্টর ২৪-এর টেক্সটবুক ডিভিশন স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি ডিউটি থেকে বাড়ি ফেরেন। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন—যাঁরা তখন ভাবনগরে ছিলেন—যোগাযোগ করতে না পারায় এক প্রতিবেশীকে খবর দেন। প্রতিবেশী গিয়ে দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। ভিতরে ঢুকে রিঙ্কেলের দেহ পড়ে থাকতে দেখে তিনি দ্রুত পুলিশ এবং ১০৮ অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। চিকিৎসক ঘটনাস্থলেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রেমিক গ্রেফতার
তদন্তে উঠে আসে, রিঙ্কেলের সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ খোঁজ শুরু করে। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ অবস্থায় মেলে। প্রযুক্তিগত নজরদারি ও মানব গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গান্ধীনগর থেকেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রেমিকের সঙ্গে কোনও বিষয়ে ঝগড়া বাঁধে, তারপরই অভিযুক্ত রিঙ্কেলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়।
ধর্ষণ এখনও নিশ্চিত নয়
যদিও রিঙ্কেলের দেহ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগ এখনও নিশ্চিত নয়। আধিকারিকদের মতে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং আঘাতের প্রকৃতি জানা যাবে ময়নাতদন্তের প্যানেল রিপোর্ট হাতে আসার পরেই।
চলছে পুলিশি তদন্ত
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গান্ধীনগর ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ঘটনার প্রতিটি দিক বোঝার জন্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ ও কল ডিটেল রেকর্ড। ইতিমধ্যেই সেক্টর–২১ থানায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।