এর জন্য i5 প্রসেসরের ল্যাপটপ কেনা যেতে পারে। অন্য দিকে, যাঁরা হাই গ্রাফিক্স গেমিংয়ের জন্য ল্যাপটপ কিনছেন তাঁদের অনেক কিছুর দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। আজ আমরা এমনই ৭ বিষয়ের কথা বলব যা গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় মাথায় রাখা উচিত।
স্ক্রিন সাইজ
শুধু গেমিং নয়, সাধারণ ল্যাপটপ কেনার সময়ও স্ক্রিন সাইজের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এতে গেমিং সহ সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখারও সুবিধে রয়েছে। এখন বাজারে ১৫.৬ এবং ১৭ ইঞ্চি স্ক্রিন সাইজের ল্যাপটপ পাওয়াই যায়। তবে যদি ল্যাপটপ নিয়ে অফিসে বা কোথাও যেতে হয়, তবে ছোট সাইজের ল্যাপটপ কেনাই ভাল।
advertisement
স্ক্রিন পাওয়ার
আজকের যুগে বাজারে এফএইচডি, কুইএইচডি এবং ৪কে স্ক্রিনের মানসম্পন্ন ল্যাপটপ বেশ সাধ্যের মধ্যে সুলভ। তবে গেমিংয়ের সময় সেরা স্ক্রিন পাওয়ারের জন্য এফএইচডি ল্যাপটপ নেওয়া যেতে পারে। এগুলি কিউএইচডি এবং ৪কে ল্যাপটপের তুলনায় কম দামে পাওয়া যায়।
থার্মাল ফিচার
সাধারণত হাই গ্রাফিক্স গেম খেলার সময় ল্যাপটপ গরম হয়ে যায়। যে কোনও সাধারণ মানের ল্যাপটপে এবং পিসিতে ফ্যান এবং এক্সজস্ট ভেন্ট থাকে। তবে এটি প্রো-গেমারদের জন্য যথেষ্ট নয়। এই ফিচারের জন্য দুর্দান্ত ল্যাপটপ হল থার্মাল কলিং ফিচার যুক্ত ল্যাপটপগুলি। এগুলির দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এতে গরমের সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন- প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে ভারতে! বাজেট ফোন কি এবার শেষের মুখে?
সিপিইউ এবং জিপিইউ
সাধারণত ল্যাপটপে খুবই শক্তিশালী সিপিইউ এবং জিপিইউ ব্যবহার করা হয়। তবে গেমিং ল্যাপটপ কিনতে হলে অবশ্যই এটিতে Nvidia GTX সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড পরীক্ষা করে কেনা উচিত। এর জন্য দুর্দান্ত সেট হল Intel Core i5।
র্যাম এবং স্টোরেজ
ল্যাপটপ কেনার আগে সবসময় র্যাম এবং ইন্টারনাল স্টোরেজ দেখে নেওয়া উচিত। সর্বাধিক র্যাম এবং ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকলে তবেই সেই ল্যাপটপ কেনা উচিত। যে সব ল্যাপটপে ইন্টারনাল স্টোরেজ কম থাকে সেগুলিতে ল্যাপটপ ব্যবহারের কয়েক মাসের মধ্যেই স্টোরেজে ঘাটতি দেখা দেয়। এর পর ধীরে ধীরে ল্যাপটপের গতি কমতে থাকে। ল্যাপটপে কমপক্ষে ১৬ জিবি র্যাম থাকলে তবেই তা কেনা উচিত।
আরও পড়ুন- গেমপ্রেমীদের জন্য সুখবর! ১৬ জিবি র্যাম ও Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসর সহ এল এই স্মার্টফোন!
ব্যাটারি ব্যাকআপ
গেমিং ল্যাপটপ কিনতে হলে ব্যাটারি ব্যাকআপের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতেই হবে। অনলাইন গেম স্ট্রিং করার সময় যদি ইলেকট্রিসিটি চলেও যায় তাতেও যেন এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যাটারি ব্যাকআপের অভাবে অনেক সময়ই আমাদের জিতে যাওয়া গেমও হেরে যেতে হয়। শুধু তাই নয় ,এতে ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা আছে কি না তাও পরীক্ষা করে দেখা উচিত। গেমিংয়ের জন্য ল্যাপটপ কিনতে হলে এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে কিনলে আশা করা যায় এই সব সমস্যা হবে না।
