কিন্তু কেন এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না শি জিনপিং? বিষয়টা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে, চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের যোগ থাকতে পারে। রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মূলে রয়েছে গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত বেইদৈহে বৈঠক। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বিদায়ী এবং অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল হেবেই প্রদেশের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে।
advertisement
আরও পড়ুন: উইকেন্ডে দিঘা যাওয়ার প্ল্যান? আকাশ কালো করে জমছে মেঘ, ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় বিরাট বদলের পূর্বাভাস!
যদিও এই বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছিল, সেটা গোপনই রাখা হয়েছে। তবে চলতি বছরের রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলি ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১২ সাল থেকে পার্টির মহাসচিব হিসেবে শি জিনপিংয়ের মেয়াদে অনুষ্ঠিত আগের দশটি বৈঠকের তুলনায় এই বিশেষ বৈঠকের পরিবেশ ছিল একেবারেই ভিন্ন।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতেই লোকনাথ বাবার জন্মদিন, চাকলা ধামে উপচে পড়ল ভক্তদের ঢল
সূত্র মারফত নিক্কেই এশিয়া খবর পেয়েছে যে, চলতি বছরের ওই বৈঠকে দলের অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের একটি দল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-কে তিরস্কার করেছে। এমনকী তাঁর সামনে এমন সব প্রশ্ন রাখা হয়েছে, যা আগে কখনওই করা হয়নি। যদিও কয়েকটি বিশিষ্ট দলের প্রবীণ নেতারা ওই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াং জেমিন, যিনি গত বছরের নভেম্বর মাসে ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন। শি-র পূর্বসূরি নেতা হু জিনতাও বৈঠকে যোগ দেননি।
যদিও কয়েকজন মাত্র প্রবীণ নেতা শি-সহ বর্তমান নেতাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কড়া বার্তা ছিল যে, কার্যকর পাল্টা ব্যবস্থা ছাড়া অব্যাহত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উত্থান-পতন পার্টির সমর্থনকে নষ্ট করবে। সেই সঙ্গে এর শাসনকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে। প্রসঙ্গত, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে আসছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। তার জায়গায় চিনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।