যদিও বৈঠকে সূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলার জায়গা ছিল বলেই সূত্রের খবর। G-20 নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "সবকিছু করতে হবে রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে। রাজ্যে নতুন কী সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলি আপনারা তুলে ধরুন। নিজের রাজ্যের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ওনাদের সামনে তুলে ধরুন। বিদেশের প্রতিনিধিদের একটা মনোরম পরিবেশে স্বাগত জানাবেন।"
advertisement
এদিন বৈঠকে শুরুতেই উদ্বোধনী ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর বিদেশ মন্ত্রীও তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সামনে। তারপরেই একে একে কেরলের রাজ্যপাল, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সহ কয়েকটি রাজ্যের প্রতিনিধি তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। বিকেল পাঁচটা থেকে বৈঠক শুরু হলেও সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য রাখার সময় ছিল ওই বৈঠকে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলাদের নিরাপত্তায় বিশেষ করে জোড় দিতে বলেন বলেই সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রতিনিধিদের মধ্যে যাঁরা মহিলা প্রতিনিধি থাকবেন, তাঁদেরকে আলাদা নিরাপত্তায় রাখতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যগুলি মহিলাদের জন্য কী কী করেছে, সেই বিষয়গুলিও G-20 সম্মেলনে তুলে ধরার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে তিনি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ এদিন দেন বলে সূত্রের খবর।
এদিনের বৈঠকে সম্মেলনকে মাথায় রেখে নির্দিষ্টভাবে টিম তৈরির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বৈঠকের তথ্য যাতে সংরক্ষিত থাকে সে বিষয়েও এদিনের বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মোট ১৫ মিনিট ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে শুরু থেকেই যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, একমাস ফাইল আটকে রাখলেই শোকজ, নির্দেশ ক্ষুব্ধ ফিরহাদের
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিবও। গত সোমবারই বৈঠকে উপস্থিত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন রাজ্য সবরকম সহযোগিতা করবে এই সম্মেলনকে নিয়ে।
আরও পড়ুন, 'চাকরি ছেড়ে দিন, তৃণমূলের অফিসে গিয়ে বসুন', বিডিও-কে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি বিজেপি বিধায়কের
পাশাপাশি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সম্মেলন হবে বলে স্থির হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সচিব পর্যায়ে আরও কয়েকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।