সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃন্দাবন শহরের ঠাকুর বাঁকে বিহারি মহারাজ মন্দিরের টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাঙ্ককর্মীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মথুরার ড্যাম্পিয়ার নগরে ওই ব্যাঙ্কের শাখায় কর্মরত অভিনব সাক্সেনার দায়িত্ব ছিল ওই মন্দিরের টাকা গোনার। অভিযোগ,সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। কার্যত ‘অভিনব’ কায়দায় টাকা গোনার সময়ই তা চুরি করেন তিনি! পুলিশ সূত্রে খবর, গত তিন দিন ধরে ধীরে ধীরে ওই টাকা সরাচ্ছিলেন অভিনব। পুলিশি জেরায় চুরির কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকার নোট কি বন্ধ হয়ে যাবে…? গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করল আরবিআই, অবশ্যই জানুন!
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর সামনে আসা মাত্রই অভিনবকে বরখাস্ত করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অভিনবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ওই ব্যাঙ্কের বৃন্দাবন শাখায় কর্মরত রয়েছেন অভিনব। চুরির বিষয়ে সন্দেহ হওয়ার পরই মন্দির কমিটির এক জন সদস্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে চাইছে রামপুরের বাসিন্দা অভিনব কি একাই এই চুরির সঙ্গে যুক্ত, নাকি নেপথ্যে অন্য আরও কেউ রয়েছেন? খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।
আরও পড়ুন: দিদিমার ফোন থেকে নাতনির নগ্ন ছবি! ১৬ বছরের ক্রীড়াবিদের জীবন নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ খেলল কোচ…!
এফআইআর অনুসারে, মন্দির চত্বরে রাখা ১৬টি ‘দানপাত্রে’ ভক্তেরা প্রণামী দেন। ওই বাক্সগুলিতে জমা হওয়া টাকা প্রতি মাসে এক বার বা কখনও দু’বার গুনে মন্দির ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। মন্দির কমিটির এক কর্তা জগন্মোহন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যে সব ব্যাঙ্কে আমাদের অ্যাকাউন্ট আছে, মন্দিরের দানপাত্রে জমা পড়া টাকা গোনার জন্য তাদের চিঠি দিই। চার দিন আগে বৃন্দাবনের বিদ্যাপীঠ ক্রসিংয়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখাতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তারা অভিনব এবং অন্য এক কর্মীকে টাকা গোনার জন্য পাঠিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় আমাদের ট্রাস্টের একজন কর্মী সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করার সময় টাকা চুরির ঘটনাটি দেখতে পান।’’ এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ পাকড়াও করা হয় অভিনবকে।