দিদিমার ফোন থেকে নাতনির নগ্ন ছবি! ১৬ বছরের ক্রীড়াবিদের জীবন নিয়ে 'ছিনিমিনি' খেলল কোচ...তার পর?

ছুটি কাটাতে গিয়েছিল নাতনি। দিদিমার ফোন থেকেই এক ‘অদ্ভুত’ ছবি চলে গেল কোচের মোবাইলে। যা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলেন দিদিমা। পর্দার আড়ালে চলছিল এক ভয়ঙ্কর সত্য, যার সূত্রপাত এই ছবিতেই। (Representational Image)

এরপরেই সামনে এল বিকৃত যৌনতার এক ভয়ঙ্কর কাহিনি। ১৬ বছরের এক ক্রীড়াবিদ, আর সেই সুযোগকে কাজে লাগানো কোচ—কে ছিল এই বিকৃত মানসিকতার অপরাধী? কেমনভাবেই বা চলত এই অন্ধকার কারবার? জেনে আপনি স্তব্ধ হয়ে যাবেন। (Representational Image)

সুরেশ বলাজি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তিনি হুলিমাভুর একটি কোচিং সেন্টারে কোচ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই বছর আগে একটি মেয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। কোচ বলাজি তাঁকে ‘ট্রেনিং’-এর অজুহাতে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। (Representational Image)

মেয়েটিকে সে হুমকি দিয়েছিল—কাউকে কিছু বললে তার ফল ভয়ঙ্কর হবে। এই ঘটনা সামনে আসে তখন, যখন ছুটিতে মেয়েটি তার দিদিমার বাড়ি যায়। সেখান থেকে দিদিমার ফোন ব্যবহার করে সে ভুল করে কোচ বলাজিকে একটি নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেয়। (Representational Image)

সেই ছবি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান দিদিমা। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের জানান এবং পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। হুলিমাভু থানার পুলিশ সুরেশ বলাজিকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে। (Representational Image)

ফোন ঘেঁটে দেখা যায়, ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সি আরও আটজন নাবালিকার নগ্ন ছবি ও ভিডিও রয়েছে সেখানে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোচিং সেন্টারে আসা একাধিক মেয়েকে ভয় দেখিয়ে অথবা প্রলোভন দেখিয়ে সে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত। (Representational Image)

সুরেশ বলাজিকে আপাতত ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সমস্ত ভুক্তভোগী মেয়েদের বয়ান নিচ্ছে এবং এই ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, যাঁদের কাছে কোনও তথ্য রয়েছে বা যাঁরা এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁরা যেন সামনে এসে অভিযোগ জানান। মেয়েটির পরিবার এখনও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। (Representational Image)

বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু এলাকার সেই ব্যাডমিন্টন কোচ সুরেশ বলাজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ—১৬ বছর বয়সি এক মেয়েকে বারবার ধর্ষণ এবং আরও আটজন নাবালিকার নগ্ন ছবি নিজের মোবাইলে রাখার। তাঁরা চাইছেন অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ঘৃণ্য কাজ করতে সাহস না পায়। (Representational Image)