নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী, তারাপুর বিধানসভা থেকে ৬৫.২২% ভোট পেয়েছেন তিনি। শুক্রবার, এই ফলাফল সামনে আসতেই জয়োল্লাস দেখা যায়।
বিহারের নির্বাচনের ফল বেরোতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে বিরোধী শিবিরে৷ গত বিধানসভা ভোটে আরজেডি দুর্দান্ত ফল করলেও এবার গেরুয়া ঝড়ে তাদের প্রধান বিরোধী দলের তকমা পাওয়াই দায়৷ তার উপর আবার এবারের নির্বাচনে আরজেডি-র প্রধান মুখ তেজস্বী যাদব নিজেই কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন৷ তেজস্বী শেষ পর্যন্ত নিজের কেন্দ্র রাঘোপুর রক্ষা করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চূড়ান্ত কৌতূহল তৈরি হয়৷
advertisement
ভোট গণনার শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয় তেজস্বী এবং তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমারের মধ্যে৷ ২০১৫ এবং ২০২০ সালে এই সতীশ কুমারকেই রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত করেন তেজস্বী৷
অন্যদিকে প্রাক্তন আরজেডি নেতা সতীশ কুমার আবার ২০১০ সালে তেজস্বীর মা রাবড়ি দেবীকে এই রাঘোপুর কেন্দ্র থেকেই পরাজিত করেছিলেন৷ ফের তিনি এবার রাঘোপুরে বাজিমাত করবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়৷
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিহারে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৫.০৮ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছেন ৬৮.৭৬ শতাংশ। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ৯.৬২ শতাংশ বেশি। অতীতে কখনই এই হারে বিহারের মানুষ ভোট দেননি। এর আগে বিহারে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল ২০০০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, ৬২.৫৭ শতাংশ। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে ভোট দিয়েছিলেন ৬৪.৬০ শতাংশ ভোটার। ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। প্রায় ৭১.৬ শতাংশ।
