ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বছর ৪০-এর অশোক কুমারের। তাঁর দাহকার্য শুরু হয়। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবার-পরিজন, কাছের মানুষেরা। ছিলেন গৌরব নামে অশোকের এক বন্ধুও। ধীরে ধীরে উপস্থিত মানুষজন একে একে চলে যেতে থাকেন, কিন্তু গৌরব সেখানে থাকে। দাহকার্য যখন প্রায় শেষ আচমকাই সকলের নজর এড়িয়ে জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দেন গৌরব। সবাই ছুটে যায় তাঁকে বাঁচাতে, কিন্তু ততক্ষণে আগুনের এলিহান শিখা তাঁর শরীরের সিংহভাগ গ্রাস করেছে। শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। ফিরোজাবাদের নাগলা খাংগার থানার ইনচার্জ মহেশ সিং জানান, ” আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।”
advertisement
মৃত গৌরবের ভাই কমল সিং পুলিশকে জানান, ” অশোক আর গৌরব ছোটবেলার বন্ধু। একই স্কুলের পড়ুয়া। একই দিনে দু’জনের বিয়ে হয়েছিল। অশিক দারুন ঢোল বাজাত। আমার ভাই ওকে সঙ্গত দিত মঞ্জিরায়। বিয়ে ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে দু’জনে গান-বাজনার দাক পেত।”
পুলিশ জানান, ৬ মাস আগে ধরা পড়ে অশোকের শরীরে বাসা বেধেছে কর্কট রোগ। শনিবার মাধিণা নাদিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। পাশের গাদিয়া পঞ্চবটি গ্রামে থাকতেন গৌরব। বন্ধুর মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই তিনি ছুটে আসেন।