প্রথমে ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দু দফায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন জননায়ক বলে খ্যাত কর্পূরি ঠাকুর৷ মৃত্যুর ৩৫ বছর পর ভারত রত্ন সম্মানের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করা হল৷
আরও পুরনো: তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এক মঞ্চে সুজন, মালদহে ব্যতিক্রমী সৌজন্যের ছবি! মিলিয়ে দিলেন নেতাজি
advertisement
দীর্ঘ দিন ধরেই কর্পূরি ঠাকুরকে ভারত রত্ন সম্মান দেওয়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ নীতীশ বিরোধী শিবিরে যোগ দিলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে জনতা দলের প্রয়াত নেতাকে ভারত রত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত মোদি সরকার এবং বিজেপি-র কোনও রাজনৈতিক কৌশল কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷
কর্পূরি ঠাকুরকে ভারত রত্ন সম্মান প্রদানের কথা এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ তিনি লিখেছেন, সামাজিক ন্যায়ের প্রাণপুরুষ এবং মহান জননায়ক কর্পূরি ঠাকুরজিকে ভারত সরকার ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি আনন্দিত৷
মূলত পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষকে নিয়েই রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন কর্পূরি ঠাকুর৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই ১৯৭৮ বিহারে সরকারি চাকরিতে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জন্য ২৬ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করা হয়৷ কর্পূরি ঠাকুর সরকারের এই সিদ্ধান্তই ১৯৯০ সালে মণ্ডল কমিশন গঠন করার মঞ্চ তৈরি করে দেয়৷
কর্পূরি ঠাকুরের এই নীতি শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষের ক্ষমতায়ণে সাহায্য করেনি, বরং একাধিক আঞ্চলিক দলের উঠে আসার পথ তৈরি করে দিয়েছিল৷ যা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় রাজনীতির খাত বদলে দেয়৷